স্পোর্টস ডেস্ক :
সাইড লাইনে বসে থাকা হেইলসকে কাঁদতে দেখা গেল। তখনো ম্যাচ শেষ হতে বেশ দেরি। দেরি থাকলেও তিনি বুঝতে পেরেছিলেন আজ রক্ষা নেই। শেষ পর্যন্ত রক্ষা হলও না। বোলিংয়ে টিম সাউদি বিশ্বরেকর্ড গড়ার পর ব্যাটিংয়ে ম্যাককুলামের আরেক রেকর্ডে ইংরেজদের চোখ ভিজিয়ে দিল নিউজিল্যান্ড। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড।ব্যাট করতে নেমে দেড়’শও পার করতে পারেনি তারা। ৫৭ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দলটি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে ৩৩ ওভারে তাদের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১২৩ রানে। টিম সাউদি একাই মূলত শেষ করে দিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। ৯ ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৭ উইকেট। বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন তিনি। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা ১৫ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। আর মুরালি ধরন এই কীর্তি গড়েছিলেন ৩০ রান খরচায়।
চতুর্থ ওভারে বেলকে দিয়ে শুরু। সাউদি দাঁড়াতে দেননি আলীকেও। বেল ১৭ বলে করেন ৮, আর আলী ১৫ বল খেলে করেন ২০। এরপর সাউদি একে একে ফিরিয়ে দেন টেইলর(০), বাটলার(৩), ওয়াকেস(১), ব্রড(৪) এবং ফিনকে(০)।
ব্যাট করতে নেমে ভয়ঙ্কর রূপে আবির্ভূত হন ম্যাককুলাম। ইংরেজদের বিশ্বকাপ স্মৃতিতে তিনি লিখে দেন একটি দুঃস্বপ্নের যাত্রা। খুনে ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে কম বল খেলে অর্ধশতকের রেকর্ডটাকে নিজের করে নেন। অর্ধশতক পূরণ করতে তিনি খেলেছেন মাত্র ১৮টি বল। শেষ পর্যন্ত ২৫ বল খেলে ৭৭ রানে থামেন!
কিছু দিন আগে ২১ বলে অর্ধশতক করেছিলেন মিসবাউল হক। মিসবাহর আগে এই রেকর্ড ছিল ক্যালিসের দখলে। তিনি অর্ধশতক করতে খেলেন ২৪টি বল।
সপ্তম ওভারে যখন ম্যাককুলাম সাজঘরের পথ ধরেন, তখন নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৯ রান। এরপর দ্রুত ফিরে যান গাপটিল। তবে আর এদিক-সেদিক হতে দেননি উইলিয়ামস-টেইলর। ১২ ওভার শেষ হতে না হতেই দলকে সহজ জয় দেন তারা। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারা ইংল্যান্ডকে বরণ করতে হয় ৮ উইকেটের আরেকটি লজ্জার পরাজয়।
ইংল্যান্ড: ১২৩/১০(৩৩.২ ওভার)
নিউজিল্যান্ড: ১২৫/২(১২.২ ওভার)
ফল: ৮ উইকেটে জয়ী নিউজিল্যান্ড।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ: টিম সাউদি।