দোয়ারাবাজারে সংবাদ সম্মেলনে আ’লীগ নেতৃবৃন্দের অভিযোগ শেখ হাসিনার দেয়া কমিটিকে বাতিল বা উপেক্ষা করার এখতিয়ার জেলা কমিটির নেই

27

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করে জামাত বিএনপির আশীর্বাদপুষ্ট লোকদের দিয়ে জেলা কমিটির ২ নেতা কর্তৃক আহবায়ক কমিটির নামে তথাকথিত তামাশার পকেট কমিটি গঠন করে বিভ্রান্তি ছাড়ানো হচ্ছে বলে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এ অভিযোগ করেন। তারা বলেন, পকেট কমিটির অনুমোদনকারী জেলা কমিটির ২ নেতা মনে মনে নিজেদেরকে জাতির জনক ভাবতে শুরু করেছেন। অহঙ্কার ও দাম্ভিকতার কারণে তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন। প্রকাশ্য দিবালোকে জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণাক্রমে আমাদের কমিটির কারো সাথে আলাপ আলোচনা ছাড়াই রাজাকার ও রাজাকারের সন্তানদেরকে প্রধান প্রধান পদে রেখে আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। অথচ জননেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া আহবায়ক কমিটিকে বাতিল বা উপেক্ষা করার কোন এখতিয়ার তারা রাখেন না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীর প্রতিক বলেন, ‘সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগের বরাত দিয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক কমিটি নামে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যাতে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের প্রতি তামাশা করা হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুসারী কিছু লোকজনের নামও ওই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে আমাদের এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। অথচ সকল নেতাকর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে নিয়মিত কমিটি গঠনের জন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এরই মধ্যে কাউকে না জানিয়ে এ ধরণের কমিটি ঘোষণায় আমরা দারুণভাবে হতাশ হয়েছি। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। ওই আহবায়ক কমিটি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। একই সাথে আমরা আশা করছি ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন এবং যথা শীঘ্রই সম্মেলনের মাধ্যমে নিয়মিত কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।’
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহবায়ক সদর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল খালেক, অধ্যক্ষ একরামুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খান, আমীরুল হক, আহমদ আলী আপন, আব্দুল ওয়াহিদ, আ’লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সফর আলী, আব্দুল আওয়াল ধলিক, ফরিদ উদ্দিন আহমদ, নুর মিয়া, তৈয়ব আলী, নজরুল ইসলাম, সিরাজ মিয়া, মানিক লাল দে, আব্দুল হামিদ, বশির মিয়া, আনফর আলী, আব্দুল হান্নান, ভুপতি দাস, আমজাদ হোসেন, তাজির উদ্দিন মেম্বার প্রমুখ। উল্লেখ্য ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনশ্রদ্ধেয় শিক্ষক ৭১ এর রণাঙ্গনের ব্যাটালিয়ান কমান্ডার অধ্যক্ষ ইদ্রিছ আলী বীরপ্রতিককে আহবায়ক করে ১টি কমিটি গঠন করে দেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এই কমিটির নেতৃত্বে সংসদ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন।