সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ রাস্তা সংস্কারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

59

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ রাস্তা সংস্কারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। কোম্পানীগঞ্জ ছাত্র পরিষদ (সিসিপি) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন-সিসিপি’র সভাপতি আনোয়ার হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ রাস্তা দীর্ঘ ৮ বছর ধরে বিপর্যস্ত। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকে আন্দোলন করে আসছে কোম্পানীগঞ্জের আপামর জনতা। বহুবার দাবি জানিয়েও সংশ্লিষ্টদের সাড়া মিলেনি। বারবার শুধু আশ্বাসেই তা থেমে রয়েছে। বছরের পর বছর ভোগান্তিতে পড়ে আছেন এ উপজেলার পৌনে দুই লাখ মানুষ। বর্তমানে সড়কটির জীর্ণ দশার কারণে ভোলাগঞ্জ পাথর পরিবহন তো দূরের কথা যাত্রী পরিবহনও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ দুর্গতির যেন অন্ত নেই।
এতে বলা হয়, ভোলাগঞ্জের পাথর দেশের সর্বত্র নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। জাতীয় অর্থনীতিতে ভোলাগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ভোলাগঞ্জ থেকে সরকার প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করছে। অথচ সড়কটির উন্নয়নে কারোরই ভ্রƒক্ষেপ নেই। এ অবস্থায় এ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভ বিরাজ করছে। যেকোনো সময় এ ক্ষোভ গণবিস্ফোরণে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তারা বলেন, কোম্পানীগঞ্জের পৌনে দুই লাখ মানুষের পক্ষে দ্রুত বিপর্যস্ত সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কটির সংস্কার ও মহাসড়কে উন্নীত করতে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সড়ক ও সেতু পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি। সকলের কাছে মিনতি- কোম্পানীগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবি সিলেট ভোলাগঞ্জ সড়ক মেরামত করে এ উপজেলাবাসীকে নরক যন্ত্রণা থেকে বাঁচান।
পাশাপাশি দ্রুত সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু না হলে কোম্পানীগঞ্জের ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ ছাত্র পরিষদের ডাকে মানববন্ধনসহ দুর্বার আন্দোলন শুরু করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সিসিপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মিন্টু, সাবেক নেতা সৈয়দ আলী ও নজরুল ইসলাম, সিসিক-এর সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।