সরকারের চূড়ান্ত পরিণতি দেখার অপেক্ষায় যারা রয়েছেন তাদের আকাক্সক্ষা কখনোই পূরণ হবে না – বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

36

IMG_0379স্টাফ রিপোর্টার :
বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, হরতাল অবরোধের মাধ্যমে যারা সরকারের চূড়ান্ত পরিণতি দেখার অপেক্ষা করছেন, তাদের আকাক্সক্ষা কখনোই পূরণ হবে না। তিনি বলেন, যে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের মানুষের কষ্ট বাড়বে, পড়াশুনায় শিক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট হয়, সর্বোপরি দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়- তা গণতন্ত্রের ভাষা হতে পারে না। মেনন বিএনপিসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সহিংসতার পথ পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। গতকাল বুধবার দুপুরে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের মূল কারণ হচ্ছে শিক্ষার অভাব। আমরা আমাদের ছেলেমেয়ের শিক্ষিত করে তুলতে পারলে গণতান্ত্রিক ও দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ নাগরিক গঠন করা সম্ভব হবে। এতে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ দূর হবে এবং একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনের পথ প্রসারিত হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে, এগিয়ে যাবে। ইতিমধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি এবং উন্নত বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করবো। বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আমরা বিশ্বমানের শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি। দিনদিন এর মান আরো উন্নত হবে।
বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম সানাউল হক, ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেটের সভাপতি আবুল হোসেন, স্কুলের অধ্যক্ষ মুনসি শামসুদ্দিন আহমেদ। পরে মন্ত্রী ওসমানী বিমানবন্দর রানওয়েসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।
এদিকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী কমরেড রাশেদ খান মেনন বলেছেন – সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ রুখতে ওয়ার্কার্স পার্টিকেই দায়িত্ব নিতে হবে। আর এ জন্য পার্টির সকল কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিত করে মেহনতি জনতার মুক্তির লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের লড়াই সংগ্রামকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতাকে রক্ষা এবং  দুর্নীতিমুক্ত  রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইও অব্যাহত রাখতে হবে।  জনতার মুক্তির লড়াইকে গণ আন্দোলনমুখী করতে হলে গণ সংগঠণের বিকাশ ঘটাতে হবে। এ জন্য সকল শ্রেণী পেশার সমন্বয়ে পার্টি ভীত গড়ে তুলতে হবে। গত ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ ইং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলা কমিটির এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় বিকল্প সদস্য ও সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আবুল হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও DSC_0357 copyসিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সিকান্দার আলীর পরিচালনায় এ কর্মী সভায় তিনি আরো বলেন – বিএনপি – জামায়াত জোট আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা তৈরী করছে। তারা নির্বাচনের পূর্বেও দেশকে অচল করে একটি জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে নাশকতা চালিয়ে ছিল। আবার ও বিএনপি – জামায়াত জোট অবরোধ দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করতে চেয়েছে কিন্তু জণগণ জণগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি আপোষকামী বুর্জুয়া রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন হয়ে পার্টির সকল কাযক্রমকে গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য সকল গণসংগঠন ও নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানান। সভায় স্ব স্ব গণ সংগঠনের কার্যক্রম তুলে ধরে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্টির সিলেট জেলা কমিটি’র সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড সিরাজ আহমেদ, জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ নারীমুক্তি সংসদ সিলেট জেলা সভাপতি কমরেড ইন্দ্রানী সেন শম্পা, পার্টির জেলা কমিটির সদস্য কমরেড দীনবন্ধু পাল, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আলফাজ, যুবমৈত্রী মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আহমেদ, যুবমৈত্রী জেলা কমিটির সভাপতি তবারক হোসেন, ছাত্র মৈত্রী জেলা আহ্বায়ক স্বপন দাস প্রমুখ।