সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ বিশ্বনাথে সরকার দলীয় পিতার শেল্টারে থাকা দুই দুর্বৃত্ত পুত্রের গ্রেফতার দাবী

70

স্টাফ রিপোর্টার :
সরকার দলীয় পিতার শেল্টার দুই দূর্বৃত্ত পুত্রের ক্রমাগত হুমকি ও নাজেহালের প্রতিকার ও গ্রেফতার দাবি করে প্রশাসনের সর্বত্র সহযোগিতা কামনা করেছেন বিশ্বনাথের জাগির আলা গ্রামের মৃত আইয়ূব আলীর পুত্র ব্যবসায়ী মো. ফরিদ আহমদ।
গতকাল সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আভিযোগ করেন।
এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন তিনি সহ পুরো এলাকাবাসী বিশ্বনাথের কুখ্যাত ছিনতাইকারী দুই সহোদর ফয়জুল ইসলাম সুমন ও ফখরুল ইসলাম এর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। কেশবপুর গ্রামের রইছ আলী লামাকাজী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ পাওয়ার পর থেকেই তার এই দুই পুত্রের বিভিন্ন অপরাধে এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ আজ চরম অশান্তিতে ভোগছেন।  স্থানীয় বাজারের পাশে নিরীহ লোকের ফসলী জমি জোরপূর্বকভাবে দখল, গাড়ি ছিনতাই, মদ, জোয়া, নারী ব্যবসা, ওসি, দারোগাকে হুমকি, শিক্ষক, চেয়ারম্যান ও স্থানীয় লোকজন কে ভয় ভীতি দেখিয়ে একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে তারা। পিতার শেল্টারেই দাপটের সাথে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলছে এই দুই ভাই। তাদের বিরুদ্ধে নান নির্যাতনে ভয়ে কথা বলতে পারেন না এলাকার লোকজন। দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানাতেও রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ।
ফরিদ আহমদ জানান বিশ্বনাথ থানার লামাকাজি বাজারে তার মালিকাধীন মার্কেট আহমদ ম্যানশনের একটি দোকান ঘরের ভাড়াটিয়া বেনু দাসকে উৎখাত করে গত ১১ অক্টোবর দিন দুপুরে ফয়জুল ও ফখরুলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী চক্র দখল করে নেয়। এমতাবস্থায় তিনি নিরুপায় হয়ে স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে সমাধান চাইলে তারা প্রত্যেকেই আইনের দ্বারস্থ হতে বলেন। যার প্রেক্ষিতে তিনি সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ সুপার, র‌্যাব-৯ সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ প্রদান করেন।
বিশ্বনাথের স্থানীয় সাংবাদিকেরা সরেজমিনে ওই দখলকৃত দোকান ঘরে দেখতে পান দোকানের ভিতর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি লাগিয়ে দোকান ঘর দখল করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কার্যালয় করেছে ফয়জুল। এছাড়া দোকান দখল করে যুবলীগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরীর ছবি দিয়ে লিফলেট করে উন্নয়ন কর্মকান্ডের নামে ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে চাঁদা আদায় করছে সে। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ হিসেবে প্রকাশিত হয়।
তিনি জানান তার সাথে সাংবাদিকদের যোগাযোগের ঘটনা জানতে পেরে ফয়জুল তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছে।
যার ধারাবাহিকতায় গত ২৬ নভেম্বর গভীর রাতে আহমদ ম্যানশনে হঠাৎ করে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে দখলকৃত কার্যালয়সহ মোট ৫টি দোকান আগুনে ভস্মীভূত হয়। অল্পের রক্ষা পায় মার্কেট সংলগ্ন তার বসতবাড়ি।
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদ আহমদ বলেন মামলা দায়েরের পর থেকেই ফয়জুল ও তার সঙ্গীয় সন্ত্রাসী চক্র ক্রমাগত তাকে এবং তার পরিবারকে প্রাণনাশসহ নানাভাবে নাজেহালের হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়া ফেইসবুকে স্টেটাসের  মাধ্যমে ফয়জুল থানার ওসি, এসআইসহ আমার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যাচার করে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ ওই সন্ত্রাসী চক্র সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে মামলা থেকে নিজেদের রক্ষায় অগ্নিকান্ডের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের সকল মহলের কাছে যত দ্রুত সম্ভব ফয়জুল, ফখরুলসহ চিহ্নিত এই সন্ত্রাসী চক্রের সকল সদস্যকে গ্রেফতার করে যথাযথ শাস্তির দাবি জানান ফরিদ আহমদ।