দক্ষ বাহিনী করতে যা যা দরকার সবই করবো -প্রধানমন্ত্রী

22

arms_bg_banglanews24_599822599কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার একটি সুশৃঙ্খল, দক্ষ, আধুনিক ও সুসজ্জিত সশস্ত্র বাহিনী দেখতে চায়। এজন্য যা যা করা দরকার আমরা তাই করবো।
গতকাল শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত বৈকালিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বক্তৃতা শেষে প্রধানমন্ত্রী ঘুরে ঘুরে সংবর্ধনায় আগত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার নির্দেশে প্রণীত ১৯৭৪ সালের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই গোল বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আমরা ইতোমধ্যে সিলেটে একটি পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। এছাড়াও এরিয়া সদর দপ্তরসহ ৬টি ইউনিট গঠন করা হয়েছে। রামুতে একটি পদাতিক ডিভিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও একটি ডিভিশন গঠন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে আমরা একটি আধুনিক ও সুসজ্জিত ত্রৈমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের সরকারের গত মেয়াদে নৌবাহিনীতে মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টারসহ নেভাল এভিয়েশন সংযোজন করেছি। এখন সাবমেরিন সংযোজন করে নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রৈমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি। ২০১৬ সালের মধ্যে দুটি সাবমেরিন নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিমানবাহিনী সাংগঠনিক উন্নয়ন এবং পেশাগত নৈপূণ্য বৃদ্ধিতে বিমান ও প্রয়োজনীয় যুদ্ধ উপকরণ সংযোজনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্থাপিত হয়েছে দুটি পূর্ণাঙ্গ বিমান ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘কক্সবাজার’। বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার’ এবং বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা।
বৈকালিক এ সংবর্ধনায় আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, প্রাক্তন উপদেষ্টা, মন্ত্রী ও মন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি, প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, ঢাকা এলাকার সংসদ সদস্য, বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান, ২০১৪ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, নির্বাচিত রাজনৈতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তি, স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল বীরশ্রেষ্ঠের উত্তরাধিকারী, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ঢাকা এলাকায় বসবাসরত খেতাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/তাদের উত্তরাধিকারী, উচ্চপদস্থ বেসামরিক কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করছে।