জগন্নাথপুরে রোপা আমনের বাম্পার ফলন ॥ কৃষকের মুখে হাসি

42

potoজগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে রোপা আমনের বাম্পার ফসল হয়েছে। হাওরে হাওরে বাতাসের সাথে তাল মিলিয়ে দুলছে পাকা ও আধা পাকা সোনালী ধান। পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এ যেন এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ বিরাজ করছে। জমিতে উৎপাদিত বাম্পার ফসল দেখে কৃষক-কৃষাণীর মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি। শুধু তাই নয়, যাদের জমি নেই তাদের মনেও আলাদা আনন্দ বিরাজ করছে। উপজেলার সর্বত্র বিরাজ করছে শান্তির পরশ। এ যেন শত কষ্টের মধ্যে এক ঝিলিক আনন্দের সংবাদ।
জানা গেছে, গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে  উপজেলার সকল হাওরে রোপা আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকরা মনের আনন্দে ধান কেটে মাড়াই করে রোদে শুকিয়ে গোলায় তুলছেন তাদের কষ্টার্জিত সোনার ফসল। এ নিয়ে কৃষক-কৃষাণীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার জগন্নাথপুর উপজেলার জগন্নাথপুর পৌরসভা, কলকলিয়া, পাটলি, মিরপুর, চিলাউড়া-হলদিপুর, রাণীগঞ্জ, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া, আশারকান্দি ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের উচু এবং মাঝারী উচু প্রতিটি হাওরে উন্নত জাতের উপশী ও স্থানীয় জাতের রোপা আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। এবার মোট ৭ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ করা হয়। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার মেঃ টন নির্ধারণ করা হলেও তার অধিক ফসল হয়েছে। তবে রোপা আমনের বাম্পার ফসল হলেও চালের বাজারে কোন প্রভাব পড়েনি বরং দিনদিন বেড়েই চলেছে চালের দাম। গত প্রায় এক মাস আগেও প্রতি কেজি চাল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভুক্তভোগী লোকজন জানান, অসাধু চাল ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের আশায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। তারা অভিযোগ করে জানান, প্রশাসনের পর্যাপ্ত তদারকি না থাকার সুযোগে ব্যবসায়ীরা তাদের মনগড়া ভাবে চালের দাম একের পর এক বৃদ্ধি করে চলেছেন। বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে জনমনে নাভিশ্বাস উঠেছে। জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসার হাসানুদ্দৌলা জানান, প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় জগন্নাথপুরে এবার রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির আশ্বস্থ করে জানান, চালের দাম বৃদ্ধিকারী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।