দক্ষিণ সুনামগঞ্জে বিএনপির বিবদমান দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ

36

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বিএনপির বিবদমান দু’গ্র“পের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাগলা বাজারে বিএনপির সাবেক উপজেলা সভাপতি আনছার উদ্দিন’র নেতৃত্বে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত করে গতকাল বিকাল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে মিছিলটি বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করলে পথিমধ্যে অপর গ্র“প নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আহমদের গ্র“পের নেতা কর্মীরা মিছিলে হামলা চালায়।
এ সময় উভয় গ্র“পের নেতা কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাবাপী সংঘর্ষে উভয় গ্র“পের প্রায় ১০/১২ জন আহত হয়।
আনছার গ্র“পের আহতরা হলেন উপজেলা যুবদল নেতা আজিম উদ্দিন (৪২), শাহ আলম (২৭), ছাত্রদল নেতা জসিম উদ্দিন (২৮)।
ফারুক গ্র“পের আহতরা হলেন উপজেলা বিএনপি নেতা ফররুখ আহমদ (৪৭), যুবদল নেতা দিদার চৌধুরী (৪০)।
এদিকে আনছার গ্র“পের আহত আজিম উদ্দিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যান্য আহতদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি।
এ সময় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশ ৩০/৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৭/৮ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনছার উদ্দিন এ প্রতিবেদকে বলেন, নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত করে আমার নেতাকর্মীরা পাগলা বাজারে বিক্ষোভ মিছেল শেষে আমার নেতা কর্মীরা পাগলা বাজারস্থ বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে যাওয়ার সময় পিছন থেকে ফারুক গ্র“পের নেতা কর্মীরা আমার নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নবগঠিত উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মোঃ ফারুক আহমদ এ প্রতিবেদকে বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে আমি ছিলাম না। তবে আমার ভাই ফররুখ সহ ৫/৬জন নেতা কর্মী আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল-আমিন এ প্রতিবেদককে বলেন, আনছার উদ্দিনের সহ তার নেতা কর্মীরা বিএনপির নবগঠিত উপজেলা আহ্বায়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত করে বিক্ষোভ মিছিল করলে ফারুক আহমদ গ্র“পের নেতা কর্মীরা মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় উভয় গ্র“পের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩০/৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৭/৮ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।