আরিফ ইস্যুতে ঢিলেঢালা হরতাল ॥ দলীয় নেতাকর্মীদের পিকেটিং এর আহবান জানানো হলেও মাঠে ছিল না কেউ

25

s--17-11-14--09স্টাফ রিপোর্টার :
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিট থেকে সিলেট সিটি করপোর্রেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নাম বাদ দেয়ার দাবিতে গতকাল সোমবার সিলেটে ঢিলেঢালা ভাবে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে। ‘আমরা সিলেটবাসী’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন এই সিলেট জেলায় এ হরতাল আহবান করে। হরতালের আগের দিন রবিবার হরতালে দলীয় নেতাকর্মীদের পিকেটিংয়ের আহবান জানানো হলেও গতকাল মাঠে দেখা যায়নি জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতাদের। নগরীর মার্কেট-বিপণীবিতান বন্ধ ছিল। বিভিন্ন সড়কে বিক্ষিপ্তভাবে রিকশা, অটোরিক্সা চলাচল করলেও ভারি যানবাহন দুই একটা চললেও বেশীরভাগ ভারী যানবাহন চলাচল করেনি। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ছিল অনেকটা ফাঁকা। দূরপাল্লার কোনো যান টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি। তবে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। হরতালে পিকেটারদের হাতে বিভিন্নস্থানে অটোরিক্সা ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকাল ৮টায় আমরা সিলেটবাসীর আহবায়ক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে হরতাল সমর্থক মধুবন মার্কেটের সামনে অবস্থান নেন। এরপর খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীরাও জড়ো হন মধুবন সুপার মার্কেটের সামনে। সেখান থেকে হরতালের সমর্থনে মিছিল নিয়ে জিন্দাবাজারে এসে সমাবেশে মিলিত হন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্রদল নেতা মাহবুব চৌধুরী। এ সময় মহানগর বিএনপি নেতা মঈন উদ্দিন সুহেল, এমদাদ চৌধুরী, যুবদল নেতা মামুনুর রশিদ, কামরুল হাসান চৌধুরী শাহিন, সাদিকুর রহমান সাদিক, ছাত্রদল নেতা হুমায়ুন কবির সুহিন আহমদ, নজরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খালেদা ও তারেক জিয়ার আদর্শের সৈনিক বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হকের নাম চার্জশিট থেকে বাদ না দিলে কঠোর থেকে আন্দোলন কমসূচি ঘোষণা করা হবে। এদিকে, হরতাল চলাকালে নগরীর জল্লারপার ও লোহারপাড়ায় কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুর করে সমর্থককারীরা। গতকাল হরতাল চলাকালে বিক্ষোভ মিছিল থেকে হকার্স দল ও শ্রমিক দলের ব্যানার কেড়ে নিয়েছে পুলিশ। সকাল ৯টায় বন্দরবাজার ফাঁড়ির সামনে থেকে পুলিশ ব্যানার কেড়ে নেয়। এর আগে রেজিষ্ট্রারি মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ওই দুই সংগঠনের নেতাকর্মীরা।Untitled-158588588
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, নগরীতে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় ছিল।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ বলেন, হরতালের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য কঠোরভাবে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় ছিল। তাছাড়া হরতালে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।