সিলেট প্রেসক্লাবে গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন ॥ রায়খাল গ্রামের নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে একটি মহল

61

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার জালালপুর ইউনিয়নের রায়খাল গ্রামের নিরীহ মানুষকে একের এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে একই গ্রামের একটি কুচক্রি মহল। ওই মহল রায়খাল গ্রাম তথা সমগ্র জালালপুর ইউনিয়নকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে এলাকার সুনাম ক্ষুণœ করছে। গতকাল শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন রায়খাল গ্রামের সচেতন জনসাধারণ। গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশিষ্ট মুরব্বী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. শাহাদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসী বলেন, গত ১ অক্টোবর গ্রামের সন্তান জালালপুর বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সত্যেন্দ্র নাথ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে জালালপুর-রায়খাইল-আলমদীন-তেতলী সড়কের জনৈক মৃত ধরন মিয়ার বাড়ীর সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হয়। ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে নগদ অর্থ ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তার চিৎকার শুনে গ্রামের বহু লোক ঘটনাস্থলে যান। ডিউটিরত পুলিশ এস আই ফরিদ তার দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু সত্যেন্দ্র নাথ কোন ছিনতাইকারীকে চিনতে পারেনি বলে পুলিশ ও গ্রামবাসীকে জানায়। এ ঘটনার ১৫ দিন পর গ্রামের ঐ কুচক্রী মহল তাকে ফুসলিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে মামলা দায়েরের জন্য থানায় নিয়ে যায়। মোগলাবাজার থানার ওসি ঘটনার ১৫ দিন পর মামলা দায়ের ও মামলায় গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সহ গরীব ও অসহায় কয়েকজন মানুষকে আসামী করায় মামলা গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে ঐ চক্র সত্যেন্দ্র নাথকে দিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৩য় আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৭৬/২০১৪ইং। মামলায় আমাদের গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বী মৃত নইম উল্লাহর পুত্র শাহাদ আলী, নিরীহ দিনমজুর মৃত হাসমত চৌকিদারের পুত্র নামর আলী ও মৃত কালী পালের পুত্র মঞ্জু পালকে আসামী করা হয়। গ্রাম্য বিরোধ ও নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে ঐ কুচক্রী মহল আমাদের গ্রামের নিরীহ মানুষকে মামলায় আসামী করেছে। সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং সেই সাথে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এ সকল নিরীহ গ্রামবাসীকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ওই সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গ্রামবাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি, র‌্যাব-৯, এসএমপি কমিশনার, সিলেটের জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দক্ষিণ সুরমা ও মোগলাবাজার থানা  পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মো. সমুজ আলী, জাহির আলী, আব্দুল আহাদ, নামর আলী, টিপু সুলতান, সমজাদ আলী, শিপলু মিয়া প্রমুখ।