কানাইঘাটে এক কলেজছাত্রীর উপর অমানুষিক নির্যাতন

25

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের এবং বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গতকাল শনিবার কানাইঘাট লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির ভাটিরাপৈত গ্রামে প্রতিপক্ষের হাতে নির্মমভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে শারমিন আক্তার (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রী। হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। আহত ছাত্রীকে সিলেট ওমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, জমি-জমা নিয়ে ভাটি বারাপৈত গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানীর সাথে তার ভাইয়ের ছেলে সালেহ আহমদ গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। সালেহ আহমদ গংরা ধনবানে বলিয়ান হওয়ায় গোলাম রব্বানীর বসত বাড়ীর যাতায়াতের রাস্তা নিজের দাবী করে চলাফেরায় বাধা-নিষেধ করে। গতকাল শনিবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে গোলাম রব্বানীর মেয়ে সড়কের বাজার মালিক-নাহার মেমোরিয়াল  স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ ২য় বর্ষের ছাত্রী শারমিন আক্তার নিজ বাড়ীর রাস্তা দিয়ে কলেজে যাওয়ার সময় চাচাতো ভাই সালেহ আহমদ গংরা বাধা প্রদান করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় সালেহ আহমদ, তার ভাই ফারুক আহমদ, জবরুল আহমদসহ গংরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে শারমিন আক্তারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে থেতলে ও রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় শারমিনের বোনের ছেলে জাকারিয়া খালাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও আহত করা হয়। এ ঘটনায় আহত শারমিনের ভাই নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে সমূহ অভিযোগ এনে চারজনকে আসামী করে গতকাল কানাইঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।