চুনারুঘাটে ২ বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ১

3

চুনারুঘাট সংবাদদাতা

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে পারভেজ (২২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চুনারুঘাট থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। তাদেরকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী দুজন সম্পর্কে চাচাতো বোন। রাজধানীর এক আত্মীয়ের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করেন তারা।
ওই দুই বোন জানান, ১৫ জানুয়ারি রাত অনুমান ১২টার দিকে ঢাকা থেকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ মোড়ে নামেন তারা। উবাহাটা গ্রামের ওস্তার মিয়ার ছেলে সিএনজিচালক কামালের সিএনজি রিজার্ভ করেন ওই দুই বোন। রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঢাকা রোডের নতুন যাত্রীছাউনির সামনে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। নতুন ব্রিজের মুখে গিয়ে কামাল বাই রোডের কথা বলে মহাসড়ক থেকে নেমে খোয়াই নদীর বাঁধে করিমপুর সড়কে প্রবেশ করেন। করিমপুর সংলগ্ন বাঁধে গিয়ে সিএনজি বন্ধ করে দেন কামাল। এ সময় কামালের বন্ধু রায়হান, পারভেজ ও শিবলু ওরফে শরীফ সঙ্গে ছিলেন। সেখানে তারা ধর্ষণের শিকার হন। তারা আরো জানান, তাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার, এক লাখ ৫৯ হাজার টাকাসহ জিনিসপত্র লুটে নেন কামালসহ অন্যরা। পরে তারা পালিয়ে যায়।
দুই বোন জানান, তারা দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ধরে ঢাকায় কাজ করছিলেন। ১৫ জানুয়ারি তারা ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এর মধ্যে একজনের বিয়ের কথা চলছিল। এ জন্য তারা তাদের জমানো বেতনের টাকা ও কেনাকাটা করে নিয়ে আসছিলেন। সব কিছু লুটে নেয় ওই তারা।
বিচার চেয়ে ভুক্তভোগীর ভাই জানান, আমার বোনকে চার জন মিলে নির্যাতন করে অর্থকড়ি হাতিয়ে নিয়েছে। আরেক ভুক্তভোগীর ভাই বলেন, সড়কে নিরাপত্তা নেই, আমার বোনকে তারা অত্যাচার করেছে।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।