শাবির হলে অস্ত্রসহ অনাবাসিক ছাত্র প্রবেশের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

1

শাবি প্রতিনিধি

গত ৫ জানুয়ারি শাহপরান হলে সংঘটিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধের মাত্রা নির্ধারণপূর্বক শাস্তির সুপারিশ করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির।
তিনি জানান, গত ৫ জানুয়ারি শাহপরান হলের ৪৩৬ নাম্বার কক্ষে ঢুকে এক শিক্ষার্থীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রেক্ষিতে ছাত্র উপদেষ্টা ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. এছাক মিয়াকে আহŸায়ক করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, কম্পিউটার ও তথ্য কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. রেজোয়ান আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান ও শাহপরাণ হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইফতেখার আহমদ।
তদন্ত কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। অভিযুক্ত শেখ ফাকাব্বির সীন সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে শাহপরান হলের ৪৩৬ নাম্বার কক্ষের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঐদিন রাত ৯টার দিকে টিউশন থেকে এসে রুমে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। হঠাৎ ফাকাব্বির (অভিযুক্ত) আমার সাথে কথা বলতে আসে। এর আগে তাকে আমি দেখিনি। তার পরনে ছিল শর্ট-প্যান্ট। আমি যখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি কে? শর্ট প্যান্ট পড়ে হুটহাট রুমে ঢুকে পড়েছ। তখনই সে পকেট থেকে একটা ছুরি বের করে আমাকে মারার চেষ্টা করে এবং ইউটিউব থেকে একটা ভিডিও প্লে করে আমাকে বলে যে দেখ আমি খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী। পরে দৌড়ে কক্ষ থেকে বেরিয়ে আমি প্রক্টরকে ফোন দিয়ে জানাই।’
জানা যায়, শেখ ফাকাব্বির বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আখালিয়া আবাসিক এলাকার একটি মেসে থাকেন। তার সাথে থাকেন একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াদ ভ‚ঁইয়া। রিয়াদ ভ‚ঁইয়া জানান, ‘ফাকাব্বির দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। সে নিয়মিত গাঁজা সেবন করে রুমে।’