স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের আকাশ সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে। দেখা মেলেনি সূর্যের। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছুটা কুয়াশা কাটলেও সূর্যের দেখা মেলেনি বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে এ অবস্থা থাকতে পারে আরও দুয়েকদিন। তবে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পৌষের সকালে ঘন কুয়াশার কারণে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চাকুরীজীবীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। শীতের গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে বেরোতে দেখা গেছে তাদের। সড়কে বেশিরভাগ গাড়িতে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে সিলেট নগরীর সড়কগুলো অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা ফাঁকা দেখা গেছে। যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন, সবার শরীরেই ছিল শীতের কাপড়।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ সজিব হোসাইন জানিয়েছেন, আগামী ২ থেকে ৩ দিন এরকম ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। তবে আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে জানা গেছে, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়া অফিস থেকে পাওয়া তথ্য মতে, শীতের হিমেল বাতাসের প্রবাহটি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ দ্রæত বাড়ছে। ফলে কুয়াশা ও শীত দুটিই আগামী কয়েক দিনে দ্রæত বাড়তে পারে। ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই শীত থাকতে পারে।
পশ্চিমা লঘুচাপের নিম্নমুখী অংশ উত্তর-পশ্চিম ভারতের হিমালয় পর্বতের কাশ্মীর এলাকা থেকে ঠান্ডা বাতাস বয়ে নিয়ে আসছে। এই হিমেল বাতাসের প্রবাহ ভারতের মধ্য ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো পেরিয়ে পূর্ব দিকে আসছে। বুধবার সকাল থেকে তা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহটি সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, কুষ্টিয়া, যুশোর ও চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে অতিক্রম করবে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শীতের তীব্রতা অনুভব হবে সিলেট, যশোর ও চুয়াডাঙায়।