হবিগঞ্জ সংবাদদাতা
হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগরে সংঘর্ষের ঘটনায় হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আবু জাহির, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের পৌনে তিনশ জন নেতাকর্মীকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে হবিগঞ্জ শহরের নাতিরাবাদ এলাকার মৃত মরম আলীর ছেলে মেরাজ আহমেদ বাদি হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অন্য আসামীরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শঙ্খ শুভ্র রায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. সালেক মিয়া, অধ্যক্ষ জাবেদ আলী, জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বুলবুল আহমেদ চৌধুরী, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আবুল মনসুর চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান রিচি গ্রামের যুবলীগ নেতা ওয়াসিম মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন, জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আহমেদ রাসেল, পইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহেব আলীসহ ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাত রাখা হয় আরো ২০০ জনকে।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়- গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানবাধিকার লঙ্গণের শিকার নেতাকর্মী ও নাগরিকদের পরিবারের স্বজনদের নিয়ে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির ব্যানারে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ওই দিন শায়েস্তানগরের হাই টাওয়ারের সামনে আসামীরা মেরাজ আহমেদকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে হাড় ভাঙ্গাসহ মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেন পরিবারের লোকজন। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।