এক মাস থেকে গৃহবধূ নিখোঁজ

15

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

বিশ্বনাথে আছমা খানম (২৪) নামে এক গৃহবধু রহস্যজনক নিখোঁজ রয়েছেন। দীর্ঘ এক মাসেও কোন হদিস মিলেনি তার। অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি থানা পুলিশও। তিনি সেচ্ছায় পালিয়েছেন? নাকি তার সাথে ঘটেছে কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলছে না কারো কাছেই। ১৮ নভেম্বর সকালে পিত্রালয়ে যাবার কথা বলে বেরিয়ে আর বাড়ি ফিরেননি । এতে চরম উদ্বিগ্ন গৃহবধুর স্বামী উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের সোহেল আহমদ।
অন্যদিকে ঘটনার দুই দিন পর সন্ধান চেয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নাম্বার-৮৭৯, তাং-২০.১১.২৪ইং) করেন, ভিকটিমের বড়বোন উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের ছালিমা খানম (৩০)। সাধারণ ডায়েরীতে বলা হয়েছে, ১৮ নভেম্বর সকাল ৯টায় পিত্রালয়ে যাবার কথা বলে দাউদপুরে স্বামীর ভাড়াটিয়া বাসা থেকে বের হবার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি।
সূুত্র জানায়, প্রায় ৬ বছর পূর্বে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের মৃত মনোহর আলীর ছেলে সোহেল আহমদের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন একই উপজেলার দশঘরের কাশিমপুর গ্রামের মৃত কদরিছ খানের মেয়ে আসমা খানমের। দাম্পত্য জীবন ভালোই কাটছিল নি:সন্তান এ দম্পতির। বাড়িতে ঘর নির্মাণের কাজ চলমান থাকায় বেশকিছু দিন ধরে ওই এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন তারা।
ভিকটিমের বোন ছালিমা খানম জানান, ঘটনার দিন আসমা আমাদের বাড়িতে আসার কথা বলে তার স্বামীর ভাড়াটিয়া বাসা থেকে বের হয়। পরে সন্ধ্যা অবধি সে বাসায় না ফেরায় তার স্বামী আমাকে ফোন করে জানতে চান সে আমাদের ওখানে এসেছে কি না? তখন আমরা জানাই সে আমাদের বাড়িও আসেনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে আমি থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করি।
ভিকটিমের স্বামী সোহেল আহমদ জানান, ঘটনার দুই দিন আগে তার স্ত্রীর বড়বোন ছালিমা খানম তাকে নাইওর আনতে বাসায় যান। তখন টাকার বন্দোবস্ত না হওয়ায় বোনের সাথে যেতে দিতে পারেননি। তিনি টাকা ধার দিতে চাইলেও তিনি গ্রহণ করেননি। ঘটনার আগের দিন রাতে স্ত্রীকে এক হাজার টাকা ব্যবস্থা করে দিয়ে পরদিন পিত্রালয়ে নাইওর যেতে বলেন। পরদিন সকালে পিত্রালয় থেকে লোক এসে নিয়ে যাবার কথা থাকায়, বসতবাড়িতে কাজে চলে যান তিনি। দুপুরের দিকে নিশ্চিত হতে স্ত্রী মোবাইলে কল দিলে তা বন্ধ পান। একাধিকবার চেষ্টায় না পেয়ে বাসায় ফিরে দেখেন স্ত্রী আসমা বাসায়ও নেই। পরে পিত্রালয়ে বোনের কাছে ফোন দিয়ে জানেত পারেন সে ওখানেও যায়নি। ঘর থেকে কেবল তিনটি নতুন পোষাক আর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়েছে সে।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের এসআই নূর মিয়া জানান, গৃহবধু মিসিং ডয়েরীটা রহস্যজনক মনে হচ্ছে। ভিকটিমের সন্ধানে আমরা কাজ করছি।