সিলেটে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ কাল, প্রধান অতিথি মুফতী ফয়জুল করীম

0

স্টাফ রিপোর্টার

পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটে গণসমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা ও মহানগর। আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা দুইটায় সিটি পয়েন্টে অনুষ্ঠিতব্য এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিবেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)।
রোববার সিলেট নগরের সুরমা মার্কেটে দলটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিলেট মহানগর সভাপতি মুফতী সাঈদ আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে। এখন সময় দেশ গঠন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণ। তবে এই যুগ সন্ধিক্ষণে আমাদেরকে দেশের শত্রæ এবং জণগণের শত্রæদের চিহ্নিত করে জাতির সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। গণদুশমন, গণহত্যাকারী, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ আর ভোট চোরেরা যাতে আগামীতে পুনর্বাসিত হতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।’
এ লক্ষ্যে পাঁচ দফা দাবি সামনে রেখে আগামী মঙ্গলবার সিলেট সিটি পয়েন্টে বেলা দুইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে প্রচার-প্রচারণা, জেলা ও মহানগরের প্রতিটি ইউনিটের ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। গণসমাবেশে জনদুর্ভোগ কমাতে এবং শৃংখলা রক্ষার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন বলেও জানান মহানগর সভাপতি।
পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার বরাবরে লিখিত অবগতি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার এই কর্মসূচি সফলে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। লিখিত বক্তব্যে মুফতী সাঈদ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, আমরা চাই গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইবুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। একইঙ্গে, গত ১৬ বছরে সংগঠিত সব রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে হবে। এক্ষেত্রে যে সব ব্যক্তি বা সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদেরকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- তদন্ত সাপেক্ষে বিগত বছরের সব দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে এবং বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিগত বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। দুর্নীতি ও টাকা পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চজ) পদ্ধতি চালু করতে হবে। সিলেটে বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি খুলে দিয়ে পরিবেশ সম্মত পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দিতে হবে। তাদের পঞ্চম দাবি হলো- ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
সংবাদ সম্মেলনে সিলেট জেলা সভাপতি নযীর আহমদ, সদস্য ইসহাক আহমদ, জেলা সহসভাপতি ফজলুল হক, মহানগর সহসভাপতি ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, জেলা সেক্রেটারি হাফিজ মাওলানা ইমাদ উদ্দিন, সিলেট মহানগর প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।