কোম্পানীগঞ্জে ধর্ষণ মামলার তিন আসামি গ্রেফতার

9

কোম্পানীগঞ্জ সংবাদদাতা

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ধর্ষণ মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ও বৃহস্পতিবার পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতকের রতনপুর গ্রামের আনর আলীর ছেলে মুহিবুর রহমান, বড়গোল্লা গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে শাহীন আহমদ ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বর্শিজোড়া গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া। গ্রেফতারকৃতরা গত বুধবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় দায়ের করা সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি।
পুলিশ জানায়, বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা দুইদিনের অভিযানে মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বছরখানেক আগে পরিবারের অসম্মতিতে প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ভুক্তভোগী ওই নারী। তার স্বামী পেশায় একজন ট্রাকচালক। স্বামীর পরিচিত ট্রাকচালক মুহিবুর রহমান ও রুবেল মিয়ার সঙ্গে ওই গৃহবধূর বিভিন্ন সময় ফোনে কথা হতো। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে ফুঁসলিয়ে সিএনজি অটোরিকশাযোগে সিলেট শহর থেকে কোম্পানীগঞ্জে নিয়ে যায় মুহিব, রুবেল ও শাহীন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের তেলিখাল ইউনিয়নের তেলিখাল বড় রামাইল এলাকার অনাবাদি জমির ঝোপঝাড়ে নিয়ে গিয়ে ওই গৃহবধূকে এ তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ভয়ভীতি দেখিয়ে গৃহবধূকে কাটাখাল ব্রিজের উপর নিয়ে সিলেটগামী একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর বুধবার রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রুবেল মিয়াকে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর, শাহীন আহমেদকে কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণ বুড়দেও ও মুহিবুর রহমানকে সিলেটের বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।