হবিগঞ্জ পৌর কিবরিয়া মিলনায়তনের ২০ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ চুরি

5

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা

হবিগঞ্জ পৌর কিবরিয়া মিলনায়তনের মুল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। এতে অডিটরিয়ামের অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিকেলে মিলনায়তনটি পরিদর্শন করেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, হবিগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল্লাহ আল আজাদসহ একদল পুলিশ। এ সময় তারা চুরির যাওয়া মালামালের তথ্য সংগ্রহ করেন।
দীর্ঘ এক দশক ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে হবিগঞ্জ পৌর কিবরিয়া মিলনায়তন। তবে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকলেও এর ভেতরে রয়েছে অধ্যাধুনিক বিভিন্ন যন্ত্রাংশসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। এসব দেখাশোনা করার জন্য হবিগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে দুইজন গার্ড সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকেন। শনিবার সকালে দায়িত্বে থাকা গার্ড অডিটোরিয়ামের পেছন দিকে গেলে চুরির আলামত দেখতে পায়। পরে বিষয়টি হবিগঞ্জ পৌরসভাকে জানান তিনি। দুপুরে অডিটোরিয়াম পরিদর্শনে যান হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, হবিগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল্লাহ আল আজাদসহ একদল পুলিশ পরিদর্শন করেন।
এ সময় দেখা যায়- মিলনায়তনের ভেতরে থাকা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার, তার ও সাউন্ড সিস্টেমের বিভিন্ন যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন মুল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকা।
পৌর অডিটোরিয়ামের কাছেই বসবাস করেন তৃতীয় লিঙ্গের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, কয়েকজন যুবক দেয়াল টপকিয়ে ভেতরে অডিটোরিয়ামের ভেতরে ডুকে। কয়েকদিন আগে রাত ১১টার দিকে শব্দ শোনে আমি ঘর থেকে বের হয়ে দেখি তারা অডিটোরিয়ামের ভেতরে যাচ্ছে। এ সময় আমি নিষেধ করলে তারা আমাকে ছুরি দেখিয়ে কাউকে না বলতে হুমকি দেয়।
হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন, দুইজন গার্ড দিয়ে রেখেছি। কিন্তু চোররা পেছনের দিকে ঝোপের মধ্যদিয়ে বাউন্ডারি দেয়াল টপকিয়ে চুরি করে মালামাল নিয়ে গেছে। এই চুরি একদিনে হয়নি, চুরেরা কয়েকদিনে এই মালামালগুলো চুরি করেছে। এই মিলনায়তনের অন্তত ২০ লাখ টাকার মালামাল চুরি করেছে তারা। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা থানায় অভিযোগ দেবো।
হবিগঞ্জ সদর উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ আব্দুল্লাহ আল আজাদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং চুরির তথ্য সংগ্রহ করেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। জড়িতদের দ্রæতই আইনের আওতায় আনা হবে।