দোয়ারাবাজারে বাঁশের সাঁকোই নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা

6

শাহ্ মাশুক নাঈম, দোয়ারাবাজার থেকে
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর টু চকিরঘাটের মধ্যদিয়ে বয়ে চলেছে খাশিয়ামারা নদী। আর নদীর উপর দিয়ে বাঁশের চাটাই দিয়ে দেয়া হয়েছে বিশাল আকারে বাঁশের সাকো। প্রায় ১০০ ফুটের এই বাঁশের দিয়ে চলাচল করেন লক্ষীপুর-বোগলা দুই ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাদিক মানুষ। অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন দুই ইউনিয়নে মানুষ। এতে অনেক সময় ঘটে চলেছে নানা দুর্ঘটনা। বছরে ছয়মাস এই সেতু তৈরি করে চলাচল করলেও বাকি সময় এলাকার মানুষ ভোগান্তির শিকার হন। তাই বাঁশের সেতুর জায়গায় পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন দুই ইউনিয়নসহ এলাকাবাসীর। নদীর পশ্চিমপাড়ে রয়েছে বৃহত্তর লিয়াকতগঞ্জ বাংলাবাজার ও কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এগুলো হল, লক্ষীপুর মুক্তিযুদ্ধা ক্যাপটেন হেলাল খসরু উচ্চ বিদ্যালয়, লিয়াকতগঞ্জ স্কুল ও কলেজ, লিয়াকতগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চামতলা দাখিল মাদ্রাসাসহ সরকারী বেসরকারী আরও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে নদীটি পানিতে ভরপুর থাকে। ওই সময়ে নদীর উপর বাঁশের সাঁকো রাখা যায় না। আর শুকনো মৌসুমে এলাকার বোরো ফসল ফলানোর জন্য রাবার ডাম্প ফোলানো হয়, এর ফলে বর্ষা মৌসুমের ন্যায় শুকনো মৌসুমেও নদী পানিতে ভরপুর থাকে।
বক্তারপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ বলেন, বর্ষা মৌসুমে নদীতে অধিক বেগে পাহাড়ি ঢল থাকে।
শুকনো মৌসুমে বোরো ফসল ফলানোর জন্য রাবার ড্যাম্পের রাবার ফোলানোর হয়। কারণে এই নদীতে বেশি দিন বাঁশের সাঁকো রাখা যায় না। আমাদের বহুদিনের দাবি বক্তারপুর-চকিরঘাটের মধ্যবর্তীস্হানে একটি সেতু নির্মাণের।
লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদ’র চেয়ারম্যান প্রভাষক জহিরুল ইসলাম বলেন, লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদ’র চেয়ারম্যান প্রভাষক জহিরুল ইসলাম বলেন, বহু দিনের স্বপ্ন আমাদের এই ব্রিজ আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি ব্রিজ নির্মাণের জন্য, অবহেলিত মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে যত দ্রæত সম্ভব খাশিয়ামারা নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মান করা প্রয়োজন। দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান আশরাফ চৌধুরী বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্রীজ নির্মানের জন্য আবেদন উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা এলডিইডি কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।