গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা
সিলেটের গোয়াইনঘাটের রুস্তুমপুর ইউনিয়নে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকের হাতে খুন হয়েছেন এক যুবক। তার নাম মোঃ নাজিম উদ্দিন (২০)। তিনি উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের পাতনি গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে। অপর দিকে এ ঘটনার মূল নায়ক মোঃ সালেহ আহমদ (৫৫)। তিনি একই ইউনিয়নের বড়ঘোষা গ্রামের মৃত ইছন আলীর ছেলে। এছাড়া ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজারে রেজাউল করিম নাঈম (২১) নামে এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় নাজিম উদ্দিন বঙ্গবীর-হাদারপার সড়কের স্থানীয় পীরেরবাজার হতে সালেহ আহমদের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে পাতনী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নামেন। নাজিম উদ্দিন অটোরিকশা থেকে নেমে সালেহ আহমদকে ৫ টাকা ভাড়া দেন। এসময় সালেহ আহমদ নাজিম উদ্দিনের কাছে ১০ টাকা ভাড়া দাবি করলে উভয়ই তর্কে জড়িয়ে পড়েন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সালেহ আহমদ রাস্তার পাশের এক মৎস্য খামারের বেড়ার বাঁশ দিয়ে নাজিম উদ্দিনের ঘাড়ে উপর্যুপরি কয়েকটি আঘাত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে নিহত নাজিম উদ্দিনের পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজন নাজিমকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর ৪টায় দিকে মারা যান নাজিম উদ্দিন। ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম নজরুলসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ কেএম নজরুল বলেন, এ ঘটনায় জড়িত মূল আসামীকে গ্রেফতারের জন্য গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে আছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এদিকে নিহত নাজিম উদ্দিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি, তবে মামলার প্রস্ততি চলছে।
মৌলভীবাজার: ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজারে রেজাউল করিম নাঈম (২১) নামে এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনী ঘাট ইউনিয়নের টিভি হাসপাতাল এলাকার বর্ষিজোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোহান নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত রেজাউল করিম বর্ষিজোড়া এলাকার চেরাগ মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে নাঈমের সঙ্গে পাশের বাড়ির রনির কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রনি ও তার বাবা নুরুল মিয়াসহ কয়েকজন মিলে রেজাউলকে ধরে রনিদের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করেন। পরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নাঈমকে কুপিয়ে আহত করেন তারা। খবর পেয়ে নাঈমের বাবা-মা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রেজাউল করিম নাঈম এ বছর মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে।
মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সোহান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিবেশীদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে নাঈমের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। ঃ
