দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও মানবিক সহায়তায় বিশে^র মধ্যে বাংলাদেশ একটি মডেল -মিজানুর রহমান

5

 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ মানুষের জীবনকে সংগ্রাম করতে শেখায়, ভালোবাসা শেখায়। দুর্যোগময় মুহ‚র্ত মোকাবেলায় বর্তমান সরকার সব সময় প্রস্তুত। দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও মানবিক সহায়তায় বিশে^র মধ্যে বাংলাদেশ একটি মডেল। সব ধরনের দুর্যোগে মানুষের পাশে দাড়ায়। দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সঠিক তথ্য দিয়ে জনগণকে বুঝাতে হবে। শুধু নিজের জন্য নয়, সমাজের জন্যও কিছু করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশকে সারাবিশে^র মধ্যে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করে তুলেছেন। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে, অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে। আগামী ৪১ সালের মধ্যে এদেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে। তিনি শুধু দুর্যোগ মোকাবেলা নয়, দেশের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনসাধারণকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহবান জানান।
মহাপরিচালক সোমবার দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে কক্ষে স্কেলিং আপ ফোরকাস্ট-বেইজড অ্যাকশন এন্ড লার্নিং ইন বাংলাদেশ (সুফল) কার্যক্রম সম্প্রসারণ সম্পর্কিত অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হোসাইন মোহাম্মদ আল জুনায়েদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তৌসিফ আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এএসএম কাশেম, সুনামগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন শিহাব।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, সামগ্রিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অবশ্যই সরকার এবং উন্নয়ন ও মানবিক সংস্থাসমূহের সমন্বয় একান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর আফসারী বেগমের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সিলেট জেলার উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ, সরকারের বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিগণ, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিগণ এবং হিউম্যানিটারিয়ান সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হিউম্যানিটারিয়ান এন্ড রেজিলিয়েন্স, কেয়ার বাংলাদেশ এর ডেপুটি ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় দাস। সুফল’র লক্ষ্য ও ফলাফল সমূহ উপস্থাপন করেন সুফল, কেয়ার বাংলাদেশের কনসোর্ডিয়াম কোঅর্ডিনেটর কাজী রাবেয়া এমি। উন্মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইড প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জ্যোতিরাজ পাত্রা। বিজ্ঞপ্তি