বজ্রপাত থেকে কৃষক-জেলেদের রক্ষায় সুনামগঞ্জের হাওরে ‘লাইটনিং শেড’

4

 

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা

বজ্রপাতে প্রাণহানি কমানো, দুর্যোগে নিরাপদ আশ্রয়, কাজের সময় বিশ্রামের বিষয়টি চিন্তা করে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে কৃষক ও জেলেদের জন্য ‘লাইটনিং শেড’ (আশ্রয়স্থল) নির্মাণ করা হচ্ছে। পাকা এই স্থাপনা অনেকটা টাওয়ারের মতো। স্থানীয় লোকজন বলছেন, উদ্যোগটি খুব ভালো। এতে তাঁরা উপকৃত হচ্ছেন। সব হাওরেই এ রকম আশ্রয়স্থল নির্মাণ করা দরকার।
সুনামগঞ্জের তিনটি উপজেলার বিভিন্ন হাওরে লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগ এসব আশ্রয়কেন্দ্র বা আশ্রয়স্থল নির্মাণ করছে। এ তিন উপজেলায় ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এখন পর্যন্ত চারটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। একেকটিতে ব্যয় হবে প্রায় ১২ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের খোয়ার হাওরে একটি আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। সুনামগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন এটির উদ্বোধন করেন। এ সময় শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেব, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও হাওরপারের বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
যে স্থানে এই আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, সেটির আশপাশে কোনো বাড়িঘর, অন্য কোনো স্থাপনা ও গাছগাছালি নেই। জেলে-কৃষকেরা সমস্যায় পড়লে আশ্রয় নেওয়ার কোনো উপায় ছিল না। খোয়ার হাওরপারের আটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আবদুল ছায়াদ (৬০) বলেন, গ্রাম থেকে হাওরের মাঝখানে যেতে শুকনা মৌসুমে হেঁটে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। তখন ঝড়বৃষ্টি কিংবা বজ্রপাত হলে হাওরে থাকা মানুষদের মাথার ওপর কোনো ছাদ থাকে না।