আজ মহানবমী কাল দেবীদুর্গার প্রতিমা বিসর্জন

18

স্টাফ রিপোর্টার
ষষ্ঠী, সপ্তমী, মহাষ্টমী পেরিয়ে দুর্গাপূজার আজ মহানবমী। অর্থাৎ দুর্গাপূজার চর্তুথ দিন। সিলেটের মÐপে মÐপে হবে মহানবমীর উৎসব। কাল মঙ্গলবার সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। ভক্তদের কাঁদিয়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা।
গতকাল রবিবার মহাষ্টমীর প্রথম প্রহরে শত শত নারী পুরুষ তাদের দূর্গা মায়ের আশীর্বাদ পেতে পুষ্পাঞ্জলি দিতে মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। ইতিহাস ঐতিহ্যের আর্বতে ভরপুর এ মন্দিরে পূজা দেওয়া যেন তাদের কাছে ভিন্ন মাত্রার আনন্দ ও উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে।
আজ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার মহানবমী। এ দিন সকাল সকাল বিহিত পূজার মাধ্যমে পালিত হবে মহানবমী। সনাতন ধর্মমতে এই নবমী পূজার আছে বিশেষ মাহাত্ম্য। এই দিন অগ্নিকে প্রতীক করে সব দেবদেবীকে আহুতি দেওয়া হয়। অগ্নি সব দেবতার যজ্ঞভাগ বহন করে যথাস্থানে পৌঁছে দিয়ে থাকেন। শাস্ত্র অনুযায়ী মহানবমী তিথি অন্যান্য তিথির তুলনায় ‘শুভ’। তাই এই তিথিতে দেবীর আরাধনা করলে পূণ্য লাভ হয়। নবমীর পূণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে পৃথিবীতে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটান দেবী দুর্গা।
সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকা মতে, দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোকে আসেন। বিদায়ও নেবেন ঘোড়ায়। যার ফল হচ্ছে ফসল ও শস্যহানি।
পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, এবার সিলেট মহানগর ও জেলায় ৬১৭টি মÐপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরীতে ১৫১টি পূজার মধ্যে সার্বজনীন ১৩৪টি ও পারিবারিক ১৭টি এবং জেলায় ৪৬৬টি পূজার মধ্যে সার্বজনীন ৪৩৫টি ও পারিবারিক ৩১টি। ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
সিলেট মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্ত জানান, সিলেটের ৬১৭টি মÐপের প্রতিনিধি দলের সাথে ইতিমধ্যে ২ দফা সভা হয়েছে। প্রতিটা পূজায় মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। সকল পূজা কমিটিকে সরকারের গাইডলাইন মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পূজা মÐপগুলোতে সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুর্গাপূজা উদযাপনে সকল সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। সকলের সহযোগিতায় ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে এবারের দুর্গাপূজা উদযাপনের মাধ্যমে শেষ হবে।