স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহŸান ইতালির প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসঙ্ঘ প্রধানের

14

কাজির বাজার ডেস্ক

আবারো বিশ্বে জোরালো হয়ে উঠছে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের। এই দাবির পক্ষে বিশ্বে ৫ পারমানবিক বোমার অধিকারী রাষ্ট্রও রয়েছে। যে রাষ্ট্রগুলো হলো, চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, ভারত ও পাকিস্তান। এর পাশাপাশি বিশ্বে অধিকাংশ দেশ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে। এদিকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধের পরিধি অন্যত্র ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে হবে এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি।
মেলোনি বলেন, ‘যদিও আমাদের অবস্থানে অনেক দূরত্ব রয়েছে। আমাদের স্বার্থগুলো ঠিকভাবে কাজ করতে হবে; গাজায় যা হচ্ছে সেটি যেন আরও বিস্তৃত দ্ব›েদ্ব, একটি ধর্মীয় যুদ্ধে এবং সভ্যতার যুদ্ধে পরিণত না হয়।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি মনে করি হামাসের লক্ষ্য ছিল এটি। ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় হামলা করেনি তারা। কিন্তু এমন একটি হামলা যেটি ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে একটি অসংলগ্ন দূরত্ব তৈরি করবে। যার অর্থ এই হামলার লক্ষ্য আমরা সবাই, আমরা হামাসের এই ফাঁদে পড়তে পারি না। যেটি বোকার মতো কাজ হবে।’
হামাসের হামলার বিপরীতে ইসরাইলের পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত উভয়পক্ষে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন হাজারো মানুষ।
চলমান এই সহিংস সংঘাত অবসানের আহŸান জানিয়ে শনিবার জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, ইসরাইলে হামাসের হামলার জবাবে ফিলিস্তিনি জনগণকে সম্মিলিত শাস্তিদান কখনই ন্যায্য হতে পারে না। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই প্রকৃত শান্তি ও স্থিতিশীলতার একমাত্র বাস্তব ভিত্তি।
এছাড়া হামাস-ইসরাইল চলমান যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিক, হাসপাতাল, স্কুল এবং জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সংস্থার কার্যালয়সহ বেসামরিক অবকাঠামোকে বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো থেকে বিরত থাকার আহŸান জানিয়েছেন তিনি।
অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেন, গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তার টেকসই বিতরণ নিশ্চিত করার জন্য জাতিসঙ্ঘ সব পক্ষের সাথে চব্বিশ ঘণ্টাই কাজ করছে। তবে গাজার জনগণের আরো অনেক কিছুর জন্য প্রতিশ্রæতি দরকার। সেখানকার বর্তমান চাহিদা পূরণ করার জন্য সহায়তার সরবরাহ অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। সীমান্তের এক পাশে ট্রাক বোঝাই আর অপর পাশে খালি পেট।
শনিবার প্রতিবেশী মিসরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক পৌঁছেছে। খাদ্য, পানি ও ওষুধবাহী এসব ত্রাণের ট্রাককে গাজার বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য ‘মহাসাগরে এক ফোঁটা পানির’ সাথে তুলনা করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা।
গত ৭ অক্টোবর ভোরের দিকে মুহুর্মুহু রকেট নিক্ষেপের মাধ্যমে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে হামাস। দুই সপ্তাহ ধরে চলমান এই যুদ্ধে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি ভ‚খÐে হামাসের চালানো হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আর ইসরাইলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরো ১৩ হাজার ৫৬১ জন আহত হয়েছেন। সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল ও আল-জাজিরা