যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হয় না বলে যুদ্ধ ‘স্মার্ট বিনিয়োগ’

6

কাজির বাজার ডেস্ক

ইউক্রেন ও ইসরায়েলের জন্য জরুরি সহায়তা হিসেবে কংগ্রেসের কাছে ১০ হাজার কোটি ডলার তহবিলের অনুরোধ করেছেন জো বাইডেন। একইসঙ্গে এ যুদ্ধ ভবিষ্যতের প্রজন্মের স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘স্মার্ট বিনিয়োগ’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এসব কথা বলেন বাইডেন। আর দিন গড়াতেই এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাশিয়ার এক মুখপাত্র বলেন, যুদ্ধ আমেরিকার মাটিতে হচ্ছে না বলেই ‘স্মার্ট বিনিয়োগ’। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রামে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধকে ‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই’ বলে অভিহিত করত। এখন দেখা যাচ্ছে এটা শুধুই অর্থের হিসাব। ওয়াশিংটন এসব মূল্যবোধ ব্যবহার করে বিশ্বকে বোকা বানিয়েছে। তারা কখনোই স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ায়নি।
জাখারোভা বলেন, যুদ্ধ ঐতিহ্যগতভাবে ওয়াশিংটনের জন্য স্মার্ট বিনিয়োগ। কারণ এসব যুদ্ধ কখনো যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হয়নি। অন্যদের এর জন্য কীভাবে মূল্য দিতে হয় তারা কখনো চিন্তাই করেনি। জাখারোভা আরো বলেন, ‘তারা যেভাবে বলে থাকে কিছুই ব্যক্তিগত নয়, শুধু ব্যবসা।’ হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিস ভাষণ দেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্লাটফর্মগুলোর একটি। মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সংকটের মুহ‚র্তে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখার জন্য এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকেন। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এ ধরনের আর একটি ভাষণ দিয়েছেন। সেটা ছিল দেশটির ঋণ খেলাপি হওয়া এড়াতে কংগ্রেস যখন দ্বিপক্ষীয় বাজেট আইন পাস করে, তারপরে। ভাষণে তিনি বলেন, ‘যদি আন্তর্জাতিক আগ্রাসন অব্যাহত থাকে তাহলে বিশ্বের অন্যান্য অংশে সংঘাত ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়তে পারে।’ বাইডেন বলেন, ‘হামাস ও পুতিন ভিন্ন ধরনের হুমকি। কিন্তু তাদের মধ্যে এই একটি বিষয়ে মিল রয়েছে। তারা উভয়েই প্রতিবেশীর গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে চায়।’
আরো বলেন, কংগ্রেসের কাছে একটি জরুরি তহবিলের অনুরোধ পাঠাবেন যা আগামী বছরের জন্য আনুমানিক ১০ হাজার কোটি ডলার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মানবিক সহায়তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ানের জন্য অর্থের প্রস্তাবটি আজ শুক্রবার উত্থাপন করা হবে। বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকার নিরাপত্তার বিবেচনায়, এটি একটি স্মার্ট বিনিয়োগ যার লভ্যাংশ ভোগ করবে আগামী প্রজন্ম।’ বাইডেন আশা করেন যে এই সবগুলো বিষয়কে একটি আইনের আওতায় একত্রিত করে পেশ করলে কংগ্রেসের অনুমোদনের জন্য তা প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক জোট তৈরি করবে।
ইসরায়েল সফরের একদিন পরে এ ভাষণ দিলেন বাইডেন। সফরে তিনি হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।