বাজার নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি দুনিয়ার কারো নেই : পরিকল্পনামন্ত্রী

35

কাজির বাজার ডেস্ক

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সিন্ডিকেট ধরা যায় না, অধরা থেকে যায়। তবে তা সাময়িকভাবে বাজারের ভেতরেই থাকতে পারে। সিন্ডিকেট হয়, সিন্ডিকেট ভাঙে, আবার নতুন সিন্ডিকেট হয়। তিনি আরো বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি দুনিয়ার কারো নেই। বাজার নিজেকেই নিজে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে সরবরাহ, চাহিদা কিছু অনুষঙ্গ আছে। এগুলো নিয়ে তাত্তি¡ক বিশ্লেষণ করা যায়। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে’র সূচনাপর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাজার সিন্ডিকেট অদৃশ্য। যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের ধরা কঠিন। বাজার বিশৃঙ্খল করতে একটি গোষ্ঠী সক্রিয়। তবে, তাদের শাস্তি দিতে আইনের প্রয়োগ করাটা জরুরি। মন্ত্রী বলেন, ‘বাজারের সিন্ডিকেট যদি দেখতে পারতাম, ধরতে পারতাম, তাহলে ব্যবস্থা নিতে পারতাম।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র, প্রতিবেশী। তুলনা করে লাভ নেই। গত দুই বছর আগে অনেকেই বলেছিলেন যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে, শুধু বাঁশি বাজানো বাকি, সেটা হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা চাই, শ্রীলঙ্কা ভালো করুক, আমরাও ভালো করতে পারব। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি আকারে আমাদের অর্থনীতির ১০ ভাগের এক ভাগও নয়। কিছু সূচকে শ্রীলঙ্কা আবার আমাদের চেয়ে এগিয়ে। শ্রীলঙ্কা যদি ঘুরে দাঁড়িয়ে থাকে, ভালো। আমি প্রশংসা করি। আমরাও ঘুরে দাঁড়াচ্ছি, দাঁড়াব। ভয় বা সংকটের কোনো বিষয় নেই।’
এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি উদীয়মান। এ ধরনের অর্থনীতিতে কিছু বিকৃতি থাকবেই, লাভ বা মুনাফার সুযোগ নেবেই। এটা মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ামক সংস্থাকে বিধিবিধান প্রয়োগ করতে হবে। আইনে যা আছে, সেটাকে মাঠে নেমে প্রয়োগ করতে হবে। এখানে কিছু ঘাটতি মাঝেমধ্যে হয়ে যায়। কয়েকটা নিয়ামক সংস্থা আছে, একেবারে নতুন। তাদের তো দাঁত গজাতে হবে। তারা আস্তে আস্তে অভিজ্ঞ হচ্ছে, কাজ করছে।