অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলায় পিকে হালদারের ২২ বছর কারাদন্ড

3

কাজির বাজার ডেস্ক

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় আত্মপক্ষ শুনানিতে গেøাবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গেøাবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের ২২ বছর কারাদÐ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় ১০ বছর ও মানিলন্ডারিং আইনে ১২ বছর করে কারাদÐ দেয়া হয়। এরআগে গত ২০ জুলাই মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১০৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন।
এছাড়া ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানিলন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন তিনি। মামলাটি তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন।
অপর ১৩ আসামির ৭ বছর করে কারাদÐ দেয়া হয়েছে। আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। আসামিদের মধ্যে অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা কারাগারে আছেন। পিকে হালদারসহ বাকি ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন।