দলের ভাঙন নিয়ে শঙ্কিত নয় বিএনপি

2

কাজির বাজার ডেস্ক

ফের ভাঙনের সুর বিএনপিতে। এরই মধ্যে বিএনপির দুই প্রভাবশালী নেতা শীর্ষ পদে যোগ দিয়েছেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার গড়া দল তৃণমূল বিএনপিতে। বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও বহিষ্কৃত তৈমূর আলম খন্দকার তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পরেই আলোচনা হচ্ছে, ফের কি ভাঙতে যাচ্ছে বিএনপি?
অন্তত জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে তৃণমূল বিএনপিকে নির্বাচনী মাঠে চায় সরকার, যেখানে বিএনপি থেকে আসা বড় একটি অংশ নির্বাচনে অংশ নেবে। শমসের মবিন চৌধুরী সে ইঙ্গিতই দিয়েছেন ২৫০ আসনে নির্বাচনে প্রস্তুতির কথা বলে। তৃণমূল বিএনপির অবস্থান, বিএনপির ভাঙন, সরকার প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঙ্গে। তৃণমূল বিএনপি বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কে কোথায় যাচ্ছে, কিচ্ছু শুনি নাই, দেখি নাই, জানি না। এরপর তো আর কোনো মন্তব্য থাকতে পারে না।’
কিন্তু বিএনপির সাবেক দুই নেতার তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেওয়া তো এখন আলোচিত ঘটনা। জবাবে তিনি বলেন, ‘বহিষ্কৃতদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য নেই। শমসের সাহেব পুরোই অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মানুষের আবেগ তার বোঝার ক্ষমতাও থাকার কথা নয়। আর তৈমূর আলম খন্দকার রাজনীতিক কিন্তু দলের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না সম্প্রতি।’
‘সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য নামছে। সরকারের পুতুল হিসেবে খেলবে। তাতে কোনো লাভ হবে না। এর আগেও সরকার এমন খেলা খেলেছে, তাতে কোনো লাভ হয়নি।’
‘সরকার বিএনপি ভাঙনের আরও চেষ্টা করবে। তবে কোনো ফল পাবে না। মানুষ আর কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না। যারা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করবে তারাই আগামীতে সমাজ থেকে খারিজ হয়ে যাবে।’ বলছিলেন মির্জা আব্বাস।
একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে এদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অপাঙতেয় এই নেতারা আওয়ামী লীগের বি-টিম হিসেবে কাজ করছে বহু আগে থেকে। আরেকটি একদলীয় নির্বাচন করার জন্য তারা আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করছে, তা আমরা আগে থেকেই জানি। এখন তাদের চরিত্র গোটা জাতি জানতে পারছে।’ ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ একইভাবে নির্বাচন করেছে এবং সেখানে কিছু ব্যক্তি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে দিয়েছে। কিন্তু এবার আর সুযোগ মিলবে না। দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ। সরকারের পতন ছাড়া জাতির সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। আমরা আন্দোলন আরও দুর্বার করার মধ্য দিয়ে একদফা দাবি আদায় করেই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।’ বলেন এ্যানি। আওয়ামী লীগ তো গত দুটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিজেদের অবস্থান আরও পোক্ত করতে পেরেছে। বিএনপি এবার সফল হবে?