আসামের গোহাটিতে অনুষ্ঠিত পটেনশিয়াল নর্থ-ইস্ট বিজনেস সামিট-এ সিলেট চেম্বারের প্রতিনিধিদলের যোগদান

58

আসামের গোহাটিতে অনুষ্ঠিত পটেনশিয়াল নর্থ-ইস্ট বিজনেস সামিট-এ যোগদান করেছেন দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র ৯ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল। ভারতের পিএইচডি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র আয়োজনে ২২ আগস্ট ২০২৩ইং, মঙ্গলবার গোহাটির মনিরাম দেওয়ান ট্রেড সেন্টারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে গেস্ট অব অনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গোহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার রুহুল আমিন। বক্তব্যে তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধিতে সম্মেলনটি আয়োজনের জন্য পিএইচডি চেম্বার অব কমার্সকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ভারতের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধিতে অত্যন্ত আন্তরিক। এ ক্ষেত্রে বিরাজমান বাঁধাসমূহ দূরীকরণে উভয় দেশের সরকার ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে প্রয়োজনীয় ভ‚মিকা পালন করতে হবে।
সম্মেলনে সিলেট চেম্বারের প্রতিনিধিদলের দলনেতা ও সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, ভারত শুধু বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রই নয়, বাংলাদেশের কাছে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক দেশও ভারত। কিন্তু ভারত থেকে রপ্তানির তুলনায় বাংলাদেশ থেকে খুবই কম সংখ্যক পণ্য ভারতে আমদানি হয়ে থাকে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কোয়ালিটি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়, যা রাজধানী নয়াদিল্লী থেকে সংগ্রহ করতে হয়, যা সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ। তাই তিনি সীমান্তের নিকটবর্তী স্থানে সার্টিফিকেশন অথরিটির অফিস স্থাপন অথবা বাংলাদেশের বিএসটিআই এর সার্টিফিকেট গ্রহণের নিয়ম চালুর অনুরোধ জানান। চেম্বার সভাপতি আরো বলেন, সিলেটে অনেক মৌসুমী শাক-সবজি, ফলমূল উৎপাদিত হয়। তা সিলেটের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে কম খরচে ভারতে আমদানি করা সম্ভব। কিন্তু ভারতে সকল ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি না থাকায় বাংলাদেশ থেকে তা রপ্তানি করা সম্ভব হয় না। তিনি দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি পূরণে ভারতে বাংলাদেশী সকল পণ্য আমদানির অনুমতি প্রদানের অনুরোধ জানান। এছাড়াও সিলেট চেম্বার সভাপতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অথবা ভারত হয়ে নেপাল ও ভ‚টানে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে সাপ্টা চুক্তি অনুসারে ১০% রাজ্য উন্নয়ন ট্যাক্স রহিতকরণ, মেঘালয় থেকে আমদানিকৃত কয়লা আসাম রাজ্য দিয়ে পরিবহনের অনুমতি প্রদান, জকিগঞ্জ-করিমগঞ্জ সীমান্তে কুশিয়ারা নদীর উপর লিংক ব্রীজ নির্মাণ ও ট্যুরিজম খাতের উন্নয়নে দুই দেশের সরকারকে একত্রে কাজ করার আহবান জানান।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন ভারতের এপিডিএ এর ডিজিএম সুনিতা রাই, পিএইচডিসিসিআই এর রেসিডেন্ট ডাইরেক্টর বিভ‚তি দত্ত, আসাম সরকারের এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট এর ডাইরেক্টর শ্রী ভাস্কর পেগু, ইন্ডাস্ট্রি এন্ড কমার্স ডিপার্টমেন্ট এর কমিশনার ওইনাম সারানকুমার সিং, সিলেট চেম্বারের প্রতিনিধিদলের সদস্য ও সহ সভাপতি মোঃ আতিক হোসেন, পরিচালক জিয়াউল হক, দেবাংশু দাস, কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, হাজী মোঃ দিলওয়ার হোসেন, বিশ্বজিৎ দে (জয়), মোঃ রশিদ আহমদ, মোঃ শাহআলম (রাফি), আসামের বিভিন্ন সরকারী-বেসারকারী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ ও আমদানি-রপ্তানিকারকবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি