মায়ের দেওয়া কিডনিতে বাঁচল সন্তানের প্রাণ

7

কাজির বাজার ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রথমবারের মতো সন্তানের জন্য মায়ের দেওয়া কিডনি সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপন শেষে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল ছেড়েছে কিডনি গ্রহণকারী ১৭ বছর বয়সী শ্রাবণী ও দাতা ৪৫ বছর বয়সী মনোয়ারা।
বৃহস্পতিবার সুপার স্পেশলাইজড হাসপাতালের ষষ্ঠ তলায় এই কিডনি দাতা ও গ্রহীতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়। এ সময় তাদের জন্য বিদায়ি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএসএমএমইউ।
সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের অন্য রকম একটি দিন। আমাদের সামনে কিডনি দাতা মা ও কিডনি গ্রহীতা মেয়ে হাসিমুখে বসে আছেন। এমন হাসিমাখা মুখ সকল রোগীর ক্ষেত্রে আমরা দেখতে চাই। সুপার স্পেশলাইজড হাসপাতাল সূত্র জানায়, ফরিদপুরের বাসিন্দা ১৭ বছরের শ্রাবণী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ফেইলর হয়ে অসুস্থ ছিল। তার মা ৪৫ বছর বয়সী মনোয়ারা মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে নিজের একটি কিডনি দান করার সম্মতি প্রদান করেন। কিডনি দাতা ও গ্রহীতার সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে ১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
এ কিডনি প্রতিস্থাপনে নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল।
অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ডা. দেবব্রত বনিক, চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ বনিক, শিশু কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম, ইউরোলজি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের অধ্যাপক ডা. তৌহিদ মো. সাইফুল হোসেন দিপু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেনসহ ৩১ জন চিকিৎসক এই কিডনি প্রতিস্থাপনের বিভিন্ন চিকিৎসাসেবার কার্যক্রমে অংশ নেন।