এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু আজ

6

 

কাজির বাজার ডেস্ক

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে গতকাল। কেউ কাক্সিক্ষত ফল না পেলে তা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার ফল পুনর্নিরীক্ষণের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
তপন কুমার সরকার বলেন, আজ শনিবার থেকে পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শুরু হবে, চলবে ৪ আগস্ট পর্যন্ত। অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই এ আবেদন করতে পারবেন। পরে বোর্ড তার খাতা যাচাই-বাছাই করে দেখে আবেদন নিষ্পত্তি করবে।
শুক্রবার সাড়ে ১০টায় আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরীক্ষায় গড় পাশের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। মোট ১৩টি শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৭৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়ে বরাবরের মতো প্রথম অবস্থানে রয়েছে। এ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬ হাজার ৩০৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ২০ হাজার ১৭৬ জন ছাত্র এবং ২৬ হাজার ১২৭ জন ছাত্রী।
চট্টগ্রাম বোর্ডে পাশের হার ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন, সিলেট বোর্ডে পাশের হার ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৫২জন, দিনাজপুর বোর্ডে পাশের হার ৭৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ৪১০ জন, রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৮৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ৮৭৭ জন, যশোর বোর্ডে পাশের হার ৮৬ দশমিক ১৭ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৬১৭ জন, কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৭৮ দশমিক ৪২ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৬২৩ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে পাশের হার ৮৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ১১৭ জন, বরিশাল বোর্ডে পাশের হার ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১১ জন।
পুনর্নিরীক্ষণে খাতার চারটি বিষয় দেখা হয়
শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষণ করলে একজন শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো- উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কিনা এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কিনা। এসব পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। এই চারটি জায়গায় কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।