জগন্নাথপুর পৌর শহরে জনদুর্ভোগ লাঘবে নলজুর নদীতে বাঁশের সেতু নির্মাণ

21

মো.শাহজাহান মিয়া, জগন্নাথপুর থেকে

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরে জনদুর্ভোগ লাঘবে নলজুর নদীতে বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণাধীন আর্চসেতুর স্থানে সহজে পায়ে হেঁটে নদী পারাপার হওয়ার জন্য এ বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার দেখা যায়, নতুন বাঁশের সেতু দিয়ে মানুষ নদী পারাপার হচ্ছেন। এতে কিছুটা হলেও জনভোগান্তি লাঘব হয়েছে বলে পথচারী জনতা জানান। জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন বলেন, সাড়ে ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
জানাগেছে, গত কয়েক মাস আগে জগন্নাথপুর পৌর শহরের পৌর পয়েন্ট থেকে খাদ্য গুদাম পর্যন্ত নলজুর নদীর উপর থাকা পুরনো সেতু ভেঙে দৃষ্টিনন্দন আর্চসেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেই ঐতিহ্যবাহী পুরনো সেতুটি ভেঙে ফেলায় নদীর এপার-ওপার পারাপারে নতুন বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে জগন্নাথপুর উপজেলা এলজিইডির উদ্যোগে হেলিপ্যাড হয়ে সি/এ মার্কেট পর্যন্ত নলজুর নদীর উপর বিকল্প পথ হিসেবে ছোট বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। এছাড়া শহীদ মিনার এলাকায় নলজুর নদীর উপর থাকা পুরনো দেবে যাওয়া ছোট সেতুটি মেরামত করে সচল করা হয়। বর্তমানে এ দুই বিকল্প পথ দিয়ে একপথে যাওয়া ও অন্য পথে আসা এমন পদ্ধতিতে যানবাহন ও মানুষ চলাচল করছেন। এতে বিকল্প সেতুগুলো সরু হওয়ায় যানজট লেগেই থাকে। তার উপর প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানজটে আটকেপড়া যানবাহনের ফাঁকে ফাঁকে পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন ছাত্র-জনতা। এমতাবস্থায় পায়ে হেঁটে নিরাপদে নদী পারাপার হওয়ার জন্য বিকল্প বাঁশের সেতু নির্মাণের দাবি জোরালো হয়ে উঠে। অবশেষে আর্চসেতু নির্মাণাধীন অংশের বাঁশের সেতু হওয়ায় সর্বস্তরের পথচারী ছাত্র-জনতা অনেক খুশি হয়েছেন।
তবে শহীদ মিনার এলাকার সেতু অংশে আরেকটি বাঁশের সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান ভ‚ক্তভোগী জনতা। এখানে আরেকটি বাঁশের বিকল্প সেতু নির্মাণ হলে আপদকালীন সময়ের জন্য জনদুর্ভোগ পুরোপুরি লাঘব হয়ে যাবে। তখন সেতুগুলো দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন ও বিকল্প বাঁশের সেতু দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করবেন মানুষ। এতে কমে যাবে যানজট। নিরাপদ ভাবে চলাচল করতে পারবেন পথচারী জনতা। তা হলেই দীর্ঘ কাঙ্খিত আর্চসেতু নির্মাণের আগ পর্যন্ত পৌর শহরের নলজুর নদীর এপার-ওপার যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখা যাবে। তা না হলে জনভোগান্তি কমবে না বলে আকিল আলী, ইদরিছ মিয়া, সাহেব আলী, বিন্দু দাস, কমল বিশ্বাস, রফিক মিয়া সহ বিকল্প সেতুগুলোতে যানজটে আটকে থাকা গাড়ি চালক ও পথচারী মানুষজন জানান।