ইউএনএসকাপ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে

8

 

চেম্বার কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং ইউএন ইকোনমেকি এন্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া এন্ড দ্যা প্যাসিফিক (ইউএনএসকাপ) এর উদ্যোগে এবং দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সার্বিক সহযোগিতায় বিবিআইএনভুক্ত দেশ যথা- বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভ‚টানের মধ্যে রিজিওনাল কানেক্টিভিটি বা আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক পরামর্শক সভা বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ইউএনএসকাপ এর সাউথ ও সাউথ-ওয়েস্ট এশিয়া অফিসের ডাইরেক্টর এবং হেড মিকিকো তানাকা বলেন, ইউএনএসকাপ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভ‚টান, প্রতিবেশী এই ৪টি দেশের মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য খাতের উন্নয়ন এবং এর ফলে কি কি পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য অদ্যকার পরামর্শক সভাটি আয়োজন করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এ ব্যাপারে ইউএনএসকাপ এর সাথে যৌথভাবে কাজ করছে। বিবিআইএনভুক্ত দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তিনি সড়ক, রেল ও নৌ যোগাযোগ বৃদ্ধি, নারী উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির আহবান জানান। তিনি পরামর্শক সভাটি আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সিলেট চেম্বারকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় বিআইআইএসএস এর রিসার্চ ডাইরেক্টর ড. মাহফুজ কবির বলেন, বিবিআইএনভুক্ত দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমস্যা থাকবে, তবে সেটা চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে তার সমাধানও সম্ভব। তিনি উল্লেখ করেন, প্রাইভেট সেক্টর দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার, তবে তথ্য সংগ্রহের অভাবের কারণে এ সেক্টরের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে বিরাজমান সমস্যাবলী দূর করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সাথে আলোচনা বৃদ্ধি ও প্রাইভেট সেক্টরকে আরো জোরালো ভ‚মিকা রাখার আহবান জানান। সভায় সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভ‚টানের মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরামর্শক সভাটি আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিআইআইএসএস ও ইউএনএসকাপ-কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ভৌগলিক সুবিধাজনক অবস্থানের কারণে প্রতিবেশী এই দেশগুলোর মধ্যে এশিয়ান হাইওয়ে ও ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারলে এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের অভ‚তপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হবে। তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের বিকাশে জকিগঞ্জ-করিমগঞ্জ বর্ডারে কুশিয়ারা নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ এবং বাণিজ্য ঘাটতি দূরীকরণে ভারতে বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানিতে বাঁধাসমূহ দূরীকরণের দাবী জানান।
সভায় বক্তাগণ বাংলাদেশী পণ্য ভারতে রপ্তানির ক্ষেত্রে সার্টিফিকেশন সমস্যা দূরীকরণ, বিবিআইএনভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একই সার্টিফিকেট প্রযোজ্যকরণ, রপ্তানি পণ্যের উপর ১০% স্টেট ডেভেলপমেন্ট ট্যাক্স রহিতকরণ, নেপাল ও ভ‚টানে বাংলাদেশী পণ্য প্রবেশে ভারতের ট্রানজিট সুবিধা প্রদান, বর্ডার হাটগুলোতে ভারতীয় ক্রেতাদের উপস্থিতি বৃদ্ধিকরণ সহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সভার বিষয়বস্তুর উপর বিষদভাবে আলোচনা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাউথ এশিয়া উইং এর পরিচালক মোঃ আরিফুর রহমান, ইউএনএসকাপ এর সাউথ এন্ড সাউথ-ওয়েস্ট এশিয়া অফিসের ডেপুটি হেড ড. রঞ্জন এস রতœ এবং শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহী মোঃ ফয়সল। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন ইউএনএসকাপ এর প্রতিনিধিদলের সদস্য আজহার জে. ডুকরেস্ট, জোসেফ জর্জ, পলাশ শ্রীবাস্তব, প্রজ্ঞাঞ্জন তরফদার, সুমন্ত বিশ্বাস, মোঃ মাজেদুল ইসলাম, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, পরিচালক মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, সদস্য ব্যারিস্টার মঈনুল ইসলাম, নীহার রঞ্জন দাস, মোঃ আরিফ হোসেন, সিলেট চেম্বারের সচিব মোঃ গোলাম আক্তার ফারুক, আমদানি-রপ্তানীকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং নারী উদ্যোক্তাবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি