হত্যা মামলায় চার জনের ফাঁসি, দশ জন খালাস

13

স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় চাঞ্চল্যকর তমজিদ আলী হত্যা মামলার দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর পর চার আসামির ফাঁসি (মৃত্যুদÐ) ও ১০ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার ইটাচকি গ্রামের আব্দুর রব, একই গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান, পার্শ্ববর্তী ইস্তি গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে রইছ আলী ও নুর মিয়ার ছেলে ফজল উদ্দিন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোঃ ফখরুল ইসলাম।
তিনি জানান, এ মামলায় দÐপ্রাপ্ত চার আসামি জামিনে ছিলেন। গতকাল সোমবার তারা আদালতে হাজিরা দিতে এলে রায় শোনানোর পর কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া এ মামলায় মোট ১৫ আসামির ১০ জনকে খালাস দেওয়া হয় এবং সাজিদুর হক নামের এক আসামি বিচার চলাকালে মৃত্যুবরণ করেন।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ২০০১ সালের ৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬টায় সিলেটের গোয়াইনঘাটে ইস্তি গ্রামে খাল দখলকে কেন্দ্র করে হাত-পা বেঁধে দা দিয়ে কুপিয়ে জেলে তমজিদ আলীকে হত্যার পর লাশ হাওরে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী পেয়ারা বেগম ১৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা (নং-৬ (৮)০০১) দায়ের করেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০২ সালের ২ মার্চ চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৩ সালের ৫ নভেম্বর সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন সদর সার্কেল এএসপি সিদ্দিকী তানজিলুর রহমান। মামলাটি জিআর ৭৭/২০০১ মূলে আদালতে রেকর্ড করা হয়। ২০০৪ সালে এ আদালতে দায়রা ৩/২০০৪ মূলে রেকর্ড করে বিচার শুরু হয়। মামলায় দীর্ঘ শুনানিতে ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক সোমবার এ হত্যা মামলায় চার জনের মৃত্যুদÐ (ফাঁসি) ও ১০ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোঃ ফখরুল ইসলাম ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান মামলাটি পরিচালনা করেন।