বিয়ানীবাজারে বসতঘর থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

7

 

বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা

বিয়ানীবাজারে বৈরাগীবাজার এলাকার নিজ বসতঘর থেকে এক গৃহবধূর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে
কইরবন্দ গ্রাম থেকে এ লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূ ওই এলাকার আবিদুর রহমানে স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার (২৪)।
নিহতের শ্বশুর দবির মিয়ার দাবী, ভোরে ছেলেকে ঘর থেকে ধাক্কা বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন ফাহমিদা। পরে দরজা লক ভেঙ্গে প্রবেশ করে দেখেন গলায় ওড়না প্যাচ দিয়ে ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ফাহমিদা।
ফাহমিদার বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয়। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের পারবারিক বিরোধ চলছিলো। রাতেও ফোন দিয়ে ঘরে ঝগড়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
জানা গেছে, বিয়ানীবাজার উপজেলার বৈরাগীবাজারে কইরবন্দ এলাকার দবির উদ্দিনের পুত্র আবিদুর রহমান সাথে একই উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়া গ্রামের জমির উদ্দিন মেয়ের ফাহমিদা আক্তারের ৩ বছর আগে বিয়ে হয়। এই দম্পতির সুখের সংসারে বিপত্তি ঘটায় সন্তান না পাওয়ার আক্ষেপ। এ নিয়ে প্রায়ই শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে ফাহমিদাকে শুনতে হতো মন্দ কথা। বোনের পরিবারের সুখ শান্তির কথা চিন্তা করে ফাহমিদার ভাইয়েরা বোনের স্বামী আবিদুরকে নিয়েছিলেন প্রবাসেও কিন্তু সেখানেও তিনি থাকেনি বেশী দিন। এ নিয়ে দীর্ঘদিনের পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো। বুধবার সকালে ঘটনার খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরণ করে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত মহিলার স্বামী আবিদুর রহমানকে আটক করা হয়।
দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, ফাহমিদার স্বামীকে তার ভাইয়েরা বিদেশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে বেশি দিন থাকেননি। ভিসার টাকা পরিশোধ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে ও একাধিক বৈঠক হয়েছে।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে আবিদুর রহমানসহ পরিবারের অনান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।