লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়ায় দুর্ভোগে মানুষ

4
সুখবর দিলেন সিলেটের প্রকৌশলী

স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং শুরু হয়েছে। এলাকাভেদে দিনে রাতে ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুতের লোডশেডিং করা হচ্ছে। সকাল থেকে গভীর রাত এমনকি শেষ রাতেও বাদ যাচ্ছে না লোডশেডিং। লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। আর বাসা বাড়িতে শিশুসহ বয়োবৃদ্ধরা রীতিমত হাঁপিয়ে তুলছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনায়। এ অবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন অফিস-আদালতের কর্মী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
সিলেটে বিদ্যুতের লোডশেডিং এ সপ্তাহে সুখবর নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। সিলেটে সকালে চাহিদা ছিল ২০০ মেগাওয়াট কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যায় ১২১ মেঘাওয়াট। সিলেট বিভাগে সকালে চাহিদা ছিল ৫৫০ মেগাওয়াট কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে ৩৫০ মেঘাওয়াট। রাতে সিলেট বিভাগে চাহিদা থাকে ৬৭০ মেগাওয়াট কিন্তু সোমবার (১০ জুলাই) রাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যায় ৪৪০ মেঘাওয়াট।
প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, দেশের বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিবিয়ানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়া এবং ভারতের আদানী পাওয়ার থেকে আমদানীকৃত বিদ্যুৎ সরবরাহে ত্রæটি দেখা দেয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চাহিদার তুলনায় সিলেট অঞ্চলে প্রায় আড়াইশ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থাকায় গ্রাহকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলেও জানায় বিউবো। সরবরাহের অভাবে গ্রাহকরা দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন বিদ্যুতের লোডশেডিং এ সপ্তাহে সুখবর নেই, আগামী সপ্তাহে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হতে পারে।