৮ মেয়র প্রার্থী ৬ জনেরই কোনো এজেন্ট ছিল না

25

 

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন ৮ প্রার্থী। এ ছাড়া লড়াইয়ে ছিলেন ২৭৩ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৮৭ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীও। প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী এসব প্রার্থীরা সাধারণত প্রতিটি কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে তাদের প্রতিনিধি বা পোলিং এজেন্ট দিয়ে থাকেন। কিন্তু চলমান সিলেট সিটি নির্বাচনে ৬ মেয়র প্রার্থীর এজেন্টের দেখা মেলেনি।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৮ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র নৌকা প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর এজেন্টের দেখা মিলেছে প্রতিটি কেন্দ্রে। তবে নির্বাচনের মূল প্রতিদ্ব›িদ্বতায় থাকা জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল মার্কার মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের শতভাগ এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যায় নি। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। সিলেট সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কাউন্সিলর প্রার্থীই তাদের এজেন্ট দিয়েছেন এবং তাদের দেখাও মিলেছে।
সিলেট সিটির ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে কমপক্ষে অর্ধশত কেন্দ্র ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত আনোয়ারুজ্জামান ও জাতীয় পার্টি নজরুল ইসলাম বাবুল ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. আব্দুল হানিফ কুটু ঘোড়া প্রতীকে, যুবদল নেতা মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে, মো. শাহজাহান মিয়া বাস প্রতীক নিয়ে ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা হরিণ প্রতীকে এবং জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম গোলাপ ফুল প্রতীকে সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এদিকে ইসলামী আন্দোলন মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান দলীয় নির্দেশনা মেনে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। তাই তিনি কোনো এজেন্ট দেন নি। বাকি ৭ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে শাহজাহান মিয়া, মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলামের কোনো এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নগরীর ২১ নং ওয়ার্ডের টিলাগড় এলাকার শাহ চান্দু দাখিল মাদ্রাসায় আব্দুল হানিফ কুটু মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন একজন এজেন্টের দেখা মিলেছে। ওই কেন্দ্রে লাঙ্গলের এজেন্ট ছিল না। ৩৭ নং ওয়ার্ডের আখালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ছাড়া কোনো প্রার্থীর এজেন্ট মেলেনি। এম সি কলজ, ৩৪ নং ওয়ার্ডের লার্নার্স হোম ও কৃঞ্চ গোবিন্দ স্কুলেও নৌকা ছাড়া কোনো মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট ছিল না। শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে নৌকা ও লাঙ্গলের এজেন্ট দেখা গেলেও অন্য মেয়র প্রার্থীদের কোনো এজেন্ট পাওয়া যায়নি।
এমসি কলেজ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মইনুল হক এবং কৃঞ্চ গোবিন্দ স্কুল কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সুচয়ন দাস জানান, অনেক প্রার্থীর এজেন্ট আসেনি। আবার অনেকে এজেন্ট দেননি।