হাজিদের পথ দেখাচ্ছে রোবট, কথা বলছে ১১টি ভাষায়

22

কাজির বাজার ডেস্ক

দিন দিন উন্নতি হচ্ছে রোবট প্রযুক্তির। ফলে রোবট এখন এমন সব কাজ করতে পারছে যা আগে সম্ভব ছিল না। মহাকাশ থেকে শুরু করে বাড়ির আঙিনাÑসবখানেই এক অনুগত সহকারী হিসেবে আবির্ভাব ঘটছে স্বয়ংক্রিয় যান্ত্রিক কাঠামো বা রোবটের। মানুষের মতো অবয়ব ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপস্থিতিতে মানুষের পাশাপাশি দ্বিতীয় স্বতন্ত্র সভ্যতার প্রবেশদ্বারে পৌঁছেছে রোবট। নতুন করে যার প্রমাণ মিলেছে সৌদি আরবে। দেশটিতে হজ পালনে যাওয়া মুসল্লিদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছে রোবট।
গালফ নিউজের এ প্রতিবেদনে জানা গেছে, সৌদি আরবের মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীতে বহুভাষী রোবট হাজিদের নানা পরিষেবা দিচ্ছে। এই রোবট কথা বলে বাংলাসহ মোট ১১টি ভাষায়। বিভিন্ন ভাষায় হাজিদের সমস্ত প্রশ্নের ঠিক ঠিক জবাব দিচ্ছে তারা। মূলত হজ পালন সহজতর করতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নানা ধরনের রোবট ব্যবহার করছে সৌদি প্রশাসন। তবে এবারই প্রথম কাজ শুরু করলো বহুভাষী রোবট। রোবটগুলো আরবি ছাড়াও বাংলা, ইংরেজি, ফরাসি, রুশ, পার্সি, তুর্কি, মালয়, উর্দু, চীনা এবং হাউসা ভাষায় দিকনির্দেশনা দিতে পারে। প্রতিটি রোবটের টানা আট ঘণ্টা সেবা দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে।
মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীতে হাজিদের যাতায়াতসহ নানা বিষয়ে দিক নির্দেশনার পাশাপাশি হজের আচার-আনুষ্ঠানিকতার কথাও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে রোবটগুলো। অবিকল মানুষের মতো হাত নেড়ে কথাও বলছে বিভিন্ন ভাষায়। এমনকি ইসলামিক স্কলারদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে। মূলত হজের নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন সহজ করতেই অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়েছে সৌদি প্রশাসন। বিগত কয়েক বছর ধরেই সৌদি আরবে হাজিদের ভিড় সামাল দেয়া এবং হজ ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় হচ্ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। দিকনির্দেশনা ছাড়াও রোবটের সাহায্যে স্মার্ট পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে জীবাণুমুক্তকরণ, জমজমের পানি ও পবিত্র কোরআন শরিফ বিতরণ। হাজিদের গতিবিধি আর চলাফেরা তদারকি করা হয় প্রযুক্তি সংযোগের মাধ্যমে। করোনা মহামারির পর কোনো বিধিনিষেধ ছাড়া এবারই পূর্ণাঙ্গ পরিসরে হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন গোটা বিশ্বের মুসল্লিরা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের হজযাত্রা আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে বলে প্রত্যাশা সৌদি কর্তৃপক্ষের।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে সবজি ও ফল তোলার কাজে রোবটের ব্যবহার শুরু হয়েছে। যদিও এ কাজে রোবট এখনও অনেক বেশি দক্ষ হয়ে উঠতে পারেনি, তবে কিছু খামার রোবট ব্যবহার শুরু করেছে। কারণ শিল্পোন্নত দেশগুলোতে এসব কাজের জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিকের অভাব রয়েছে।