উদ্ভাবনী মেলার উদ্বোধনকালে বিভাগীয় কমিশনার : জনবান্ধব সরকারি সেবাগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছে দিতে হবে

6

 

ভবিষ্যতের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারি সেবাসমূহ আধুনিকায়ন হচ্ছে। অনেক সেবাই এখন ঘরে বসে স্বল্প সময়ে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন উদ্ভাবনী ধারণার মাধ্যমে স্মার্ট সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য। বিভাগীয় উদ্ভাবনী মেলা ২০২৩ উপলক্ষে ১৮ জুন রবিবার সিলেটে মোহাম্মদ আলী জিমনেশিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান বিপিএম (বার)-পিপিএম-সেবা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. আ: রাজ্জাক সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ এস এম কাসেম।
সরকারি কর্মচারীরা সরকারের নির্দেশনা মেনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে স্মার্ট ও উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে কাজ করছেন উল্লেখ করে ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারি কাজ করার পদ্ধতিগুলো আগে অনেক প্রাচীন ছিলো কিন্তু এখন স্মার্ট হচ্ছে। মানুষের ভ‚মি ব্যবস্থাকে আরো স্মার্ট করতে সরকারের নির্দেশনায় তা অটোমেশন করা হয়েছে। স্মার্ট কৃষি ধারণা মাধ্যমে কৃষির প্রসারণ ঘটছে। সিলেটে জেলা প্রশাসন থেকে স্মার্ট ডিজিটাল ভ্রমণ গাইড তৈরি করা হয়েছে। ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী ধারণার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করার আহŸান জানান বিভাগীয় কমিশনার।
ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভাষা সংগ্রহে স্মার্ট আইডিয়া সম্পর্কে বলেন, উপজাতিদের ভাষা সংগ্রহে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। বর্তমান সরকার মনিপুরি সেন্টার স্থাপন করেছে। উপজাতিদের ভাষায় পাঠ্যবই প্রস্তুত করা হয়েছে এবং তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হচ্ছে। সরকারের সূদরপ্রসারি উদ্ভাবনী ধারণা সম্পর্কে অভিহিত করে তিনি আরো বলেন, জনবান্ধব সরকারি সেবাগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছে দিতে প্রতিটি জেলা-উপজেলা থেকে উদ্ভাবনী ধারণা আসছে। মূল্যায়ন কমিটি আইডিয়াগুলো যাচাই বাচাই করবেন ও শ্রেষ্ঠ আইডিয়া দাতাদের পুরস্কৃত করবেন।