জনতার কামরান হিসেবেই তিনি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন -জাহাঙ্গীর কবির নানক

9

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাদ যোহর হযরত শাহজালাল (রহঃ) দরগাহ মসজিদের নিচতলায় মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন রায়নগর বায়তুল বরাত জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আবিদ হাসান রাহমানি। দোয়া মাহফিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ পরিবারের নিহত সকল সদস্যের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। বদরউদ্দিন আহমদ কামরান সহ প্রয়াত মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র দীর্ঘায়ু কামনাসহ দেশ ও জাতি এবং বিশ্বের শান্তি কামনা করা হয়।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে মিডিয়ার সম্মুখে কামরানের স্মৃতিচারণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, বদরউদ্দিন আহমদ কামরান যাকে সারাদেশের মানুষ ‘জনতার কামরান’ হিসেবে চেনেন। সাধারণ মানুষের যেকোনো দুঃখ-দুর্দশায় তিনি এগিয়ে যেতেন। তিনি আজও ‘জনতার কামরান’ হিসেবে মানুষের মাঝে বেঁচে আছেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রাণ। এমন নিবেদিত প্রাণ আর কখনো আসবে না। কামরান ভাইয়ের সবচেয়ে বড় গুন ছিল- তিনি সর্বদাই হাস্যজ্জ্বল থাকতেন। কখনোই তিনি রাগান্বিত হতেন না। সত্যিকার অর্থেই তিনি জনদরদী একজন মানুষ ছিলেন। তিনি এমন একজন প্রাণবন্ত মানুষ যিনি অফুরন্ত জীবনীশক্তির অধিকারী। সদা হাস্যোজ্জ্বল কর্মযোগী, ধ্যানী এই মানুষটির স্পষ্টতা, সরলতা ও সাহসিকতা সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর রেখে যাওয়া কর্মগুলো সকল মানুষকে যুগ যুগ ধরে অনুপ্রাণিত করবে, ইনশাআল্লাহ। আমার তাঁর সাথে দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ হয়েছে। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরানপুত্র ডা: আরমান আহমদ শিপলু, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শমশের জামাল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মুবাশ্বির আলী, মহানগরের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, উপদপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, উপদেষ্টা এনাম উদ্দিন, আব্দুল মালিক সুজন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গিরদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিবৃন্দ মুফতি আব্দুল খাবির, আব্দুর রব হাজারী, মুহিবুর রহমান ছাবু, সাজোয়ান আহমদ ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, সোয়েব বাছিত, শেখ সুরুজ আলম, আনোয়ার হোসেন আনার, ফাকরুল ইসলাম আলকাছ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীবৃন্দ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি