শহরতলীর সোনাতলা-মইয়ারচর গ্রামবাসীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

12

 

সিলেটের কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়কে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি রাস্তা কাটাকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার সোনাতলা এলাকায় দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার বেলা ২টা থেকে প্রায় ৪টা পর্যন্ত চলা এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। প্রায় ২ ঘন্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়।
জানা গেছে, সিলেটে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ও বুধবার সকালের বৃষ্টিতে কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ওই সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলছে। তাই সড়ক খুঁড়ে মাটি রাস্তার পাশে রাখায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সেই পানি অনেকের বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে সেই জলাবদ্ধতা দ্রæত নিরসনের দাবিতে সিসিকের বর্ধিত ৩৯ নং ওয়ার্ডের মইয়ারচর, নয়া কুরুমকলা, নাজিরেরগাঁও এবং শিমুলতলার বাসিন্দারা কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়ক অবরোধ করেন। এসময় অবরোধকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ফোন করে দ্রæত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন। কিন্তু বেলা ২টার দিকে সংশ্লিষ্টরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে সদর উপজেলাধীন সোনাতলা এলাকার একটি রাস্তা কাটতে গেলে স্থানীয়রা এতে বাধা প্রদান করেন। এ বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোনাতলা এলাকাবাসীর সঙ্গে মইয়ারচর, নয়া কুরুমকলা, নাজিরেরগাঁও এবং শিমুলতলার মানুষের তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এসময় উয়য় পক্ষ একে অপরের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। পরে বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা জানান, কাজের শুরু থেকে তারা দাবি জানিয়ে আসছেন পানি চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করে দিতে। না হলে তারা বাড়ি-ঘরে থাকা সম্ভব না। বারবার দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ কথা কানে নিচ্ছে না। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে পারছেনা ছেলে মেয়েরা। ড্রেনের ময়লা-আবর্জনার পানি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। সেখানে রয়েছেন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম রুকন। তিনি বলেন- বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অনেকেই আহত হয়েছেন। পরে বিস্তারিত বলা যাবে। স্টাফ রিপোর্টার