কাজির বাজার ডেস্ক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিশ্বের উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যৎ গতি-প্রকৃতিকে প্রভাবিত করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। কালক্ষেপণ না করে বৈশ্বিক পরিমÐলের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের উচ্চশিক্ষা পাঠ্যক্রমেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে যুক্ত করা যায়, সেই বিষয়ে পরামর্শ দিতে দেশের শিক্ষাবিদদের এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছেন তিনি। সোমবার (১২ জুন) ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিক্সের সম্ভাবনা ও শঙ্কা’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ইউজিসির ইনোভেশন উইং কমিশনের অডিটোরিয়ামে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভ‚ঁইয়া। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং কমিশনের জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন। প্রফেসর আলমগীর বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে সবকিছু দ্রæত বদলে যাচ্ছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে উচ্চশিক্ষাকে যুগোপযোগী করা না গেলে আমরা এক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ব। আমাদের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা ও পাঠ্যক্রম ঢেলে সাজানোর কাজটি দ্রæত শুরু করতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আমাদের চিন্তা করতে হবে উচ্চশিক্ষায় চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও মালয়েশিয়া কোথায় পৌঁছেছে। আমরা কেন উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তাদের পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি সে বিষয়টি পর্যালোচনা করতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিক্সের যুগে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে আরও মনোনিবেশ করতে হবে। তা না হলে আমরা সত্যিই বিপজ্জনকভাবে পিছিয়ে যাব।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ইন্টারনেট অব থিংস (আওটি), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিক্স গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এর প্রভাবে উন্নত বিশ্বে দক্ষ জনবলের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশের জন্য যেন বোঝা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ড. শামসুল আরেফিন বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের এমপ্লোবিলিটিকে যেন ঝুঁকির মধ্যে না ফেলে সেজন্য নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিক্সের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এর সুফল ভোগ করতে হবে।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও ইনোভেশন ফোকাল পয়েন্ট রবিউল ইসলাম। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. সেঁজুতি রহমান।
