গোয়াইনঘাটে ৪টি চোরাই গরুসহ চোর আটক

6

 

গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা

গোয়াইনঘাট উপজেলা চোরাইকৃত ৪ টি গরুসহ আলতা মিয়া নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তি গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়নের উত্তর লাবু গ্রামের আয়াত উল্লাহ মিয়ার ছেলে আলতা মিয়া।
জানা যায়, শনিবার দিবাগত-রাতে খাওয়া দাওয়া করে নিজ বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও কাপ্তানপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিন। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে গভীর রাতে চুরেরা গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে ৪টি গরু নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রবিবার ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান তার ৪টি গরু চুরি হয়ে গেছে। তিনি চুরি হওয়া গরু উদ্ধারের জন্য গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ জনের সাথে যোগাযোগ করে চুরি হওয়া গরুর হদিস পাননি। রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে চুরি হওয়া গরুর খোঁজে তিনি অবস্থান করেন গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়নের উত্তর লাবু গ্রামে। এসময় তিনি গরু খোঁজে গরু চোর সোহাগের বাড়ির সামনে পৌঁছে দেখতে পান তার চুরি হওয়া ৪ টি গরু পাচারের জন্য গরুচোর সোহাগসহ ৬-৭জন লোক নৌকায় গরুগুলো তুলছেন। ইসলাম উদ্দিন তার গরু দেখে চিৎকার শুরু করলে লাবু গ্রামের লোকজন চলে আসেন এবং গরুগুলো ফেরত দেয়ার জন্য সোহাগকে অনুরোধ করেন। এতে গ্রামবাসীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় গরুচোর সোহাগ এবং গরুর মালিক ও সহযোগীতাকারী গ্রামবাসীর উপর আক্রমন করার জন্য সুলপি, ঝাঁটা, দাসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আক্রমণের চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার এসআই জহিরুল ইসলাম খানকে সাথে নিয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে যান গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সুমন, পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন পারভেজসহ দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বারগন। পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিগনের যৌথ সার্বিক প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং চোরাই গরুসহ আলতা মিয়াকে আটক করে গোয়াইনঘাট থানায় নিয়ে আসা হয়।
গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল বলেন, আটক ব্যক্তিসহ ওই ৪টি গরু চুরির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ বলেন, চোরাই গরু নৌকায় উঠানোর সময় গরুর মালিক গরুসহ চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলার পর সোহাগের আত্মীয় স্বজনদের দেশীয় অস্ত্রের মহড়ার খবরে আমাকে বিচলিত করে। ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত বিষয়ে বিহীত ব্যবস্থার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে গোয়াইনঘাট থানার এসআই জহিরুল ইসলাম খান এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বারদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এসময় বিক্ষোভ হাজারো জনতার সাথে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। অপর দিকে চোরাইকৃত ৪টি গরুসহ আলতা মিয়াকে আটক করে গোয়াইনঘাট থানা হাজতে নিয়ে আসেন এসআই জহিরুল ইসলাম খান।