গোয়াইনঘাট থেকে অপহৃত শিশু ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি : হবিগঞ্জ থেকে উদ্ধার

6

কে.এম লিমন গোয়াইনঘাট থেকে
গোয়াইনঘাট থেকে অপহৃত ১৪ মাস বয়সি শিশু শাহজাহানকে হবিগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের সর্দারপুর গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণের অভিযোগে মমতা বেগম নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত আসামি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সর্দার পুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী। পুলিশ জানায়, অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী জাফর নামক জৈনক ব্যক্তি নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে ভিকটিম শাহ জাহানকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সে নিজেকে অসহায় ও অনাথ পরিচয় দিয়ে ভিকটিমের পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। প্রায় ২০ দিন ভিকটিমের পিতার বাড়িতে অবস্থান করে আসামি জাফর বিশ্বস্থতা অর্জন করে এবং অপহরণের সুযোগ সন্ধান করতে থাকে। সুযোগ পেয়ে জাফর গত ২৭ মে ভিকটিমকে অপহরণ করে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে নিয়ে ধৃত আসামি মমতা বেগমের কাছে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে পালিয়ে যায়। এদিকে কাজের ছেলে ও ভিকটিম শিশুটিকে না পেয়ে শিশু শাহজাহানের পিতা মোঃ ফয়জুদ্দিন গোয়াইনঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। উক্ত ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় জনমনে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি করে। ভিকটিমের পিতা কর্তৃক সাধারণ ডায়েরির পর গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ভিকটিম উদ্ধারে তৎপর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের এসাই মিহির ও এস আই নয়ন রায় সঙ্গীয় ফোর্সসহ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ওসি কে এম নজরুল বলেন, শিশুটিকে অপহরণ ও ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করার পর পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার এবং অপহরণের অভিযোগে মমতা বেগম নামে এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মোঃ সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, অপহরণের মূল পলাতক আসামি জাফরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।