গোয়াইনঘাটে তৃতীয় শ্রেণীর বাকপ্রতিবন্ধি স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার

22

 

কে.এম লিমন, গোয়াইনঘাট থেকে

গোয়াইঘাটে তৃতীয় শ্রেণীর এক বাকপ্রতিবন্ধি স্কুলছাত্রী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ লম্পট আব্দুর রউফকে গ্রেফতার করেছে। গত বুধবার গোয়াইনঘাট উপজেলার রস্তুমপুর ইউনিয়নের বাদেপাশা গ্রামের কুলুমছড়ার পার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিম স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন বেলা পোনে বারোটার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাদেপাশা গ্রামের ছেরাগ মিয়ার ছেলে আব্দুর রউফ (৩৫) ভিকটিমকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে তার নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে মুখে গামছা গুঁজে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে দেশীয় অস্ত্র দা দিয়ে হুমকি প্রদর্শন করে বলে, বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য। বাড়ীতে এসে ভিকটিম কান্নাকাটি করে তার পিতা-মাতাকে বিষয়টি খুলে বলে। বিষয়টি জানাজানির পর নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশীরা উত্তেজিত হয়ে ধর্ষক আব্দুর রউফের বাড়ীতে গেলে কৌশলে পালিয়ে যায় লম্পট।
স্থানীয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আতিকুন নাহার প্রতিবন্ধি ছাত্রী বখাটে আব্দুর রউফ কর্তৃক জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বাকপ্রতিবন্ধি ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৩। তাং ২৪/৫/২০২৩ ইং। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিহির দাস ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধী আব্দুর রউফকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার লম্পট আব্দুর রউফকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গোয়াইনঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ কেএম নজরুল জানান, একজন বাকপ্রতিবন্ধি শিশু ধর্ষণের খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আইনগত উদ্যোগ নেই এবং ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধী আব্দুর রউফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।