ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ১৯০ কিলোমিটার

4

কাজির বাজার ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৫ কিলোমিটার বেড়ে গেছে। বর্তমানে এর কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৯০ কিলোমিটার। এছাড়াও ঝড়টির কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শনিবার বেলা আড়াইটায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ১৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান তুলে ধরা হয়। এর আগে সকাল ৬টায় মোখার অবস্থান তুলে ধরে ১৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। আবহাওয়া অফিস সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ঘূর্ণিঝড় “মোখা” উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভ‚ত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপক‚ল অতিক্রম করতে পারে। শনিবার রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপক‚লীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। তাই কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।
এছাড়া উপক‚লীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, ল²ীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চর ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।