আচরণবিধি নিশ্চিত করতে ডিসি-এসপিকে চিঠি

14

প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারণা না চালাতে নির্দেশ

কাজিরবাজার ডেস্ক

সিলেটে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণবিধি মানা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়পত্র দাখিলের সময় কোনো শোডাউন মিছিল যাতে না করা হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়ে এ চিঠি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, একই চিঠি পাঠানো হয়েছে খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহীর ডিসি এবং এসপিদের।
নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে এর আগে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় পার্টির মহাসচিবকে চিঠি দেয় ইসি।
এছাড়া গাজীপুর সিটি ভোটে মনোনয়ন দাখিলের সময় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা মনোনয় দাখিলের সময় শোডাউন করায় তাকে ঢাকায় তলব করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচনি আচরণবিধির যথাযথ প্রয়োগ ও প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, আগামী ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুসারে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ যথাযক্রমে ১৬ মে ও ২৩ মে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনো কোনো প্রার্থীর মিছিল, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বা শোডাউন করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ১১ ও ১৩ বিধিতে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বশর্ত নির্বাচনি আচরণ বিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে বলা হয়, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে নির্বাচনি এলাকার আচরণ বিধির যথাযথ প্রয়োগ ও প্রতিপালন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপার যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে, আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী ও সমর্থকরা যেন নির্ধারিত সময়ের আগে প্রচার না চালাতে পারেন সে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, সব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বিষয়টি প্রার্থীদের অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন পূর্ব সময় অর্থাৎ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটগ্রহণের দিন পর্যন্ত প্রত্যেক প্রার্থীকে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধানসমূহ পরিচালনা করতে হবে। সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ৫ অনুসারে প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কোনো নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবে না। বিষয়টি সম্পর্কে সব প্রার্থীকে সচেতন করতে হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি ভোটের মনোনয়নপত্র বাছাই গত রোববার শেষ, রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ সময় আগামী ৪ মে, আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ মে। প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। অর্থাৎ এ সিটিতে প্রচার চালানো যাবে ৯ মে থেকে।
খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের শেষ সময় ২১ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ২৪ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ মে ও ভোট ১২ জুন। এ দুই সিটি নির্বাচনে ২৬ মে থেকে প্রচার চালানো যাবে।
আর রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২৮ মে। আর আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পিত্তর শেষ সময় ৩১ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন, প্রতীক বরাদ্দ ২ জুন ও ভোট ২১ জুন। এ দুই সিটি ভোটে প্রচার চালানো যাবে ২ জুন থেকে।