সিলেটে আইনগত সহায়তা চেয়েছেন ১ হাজার ৪৪৬ জন

28

 

আজ (২৮ এপ্রিল শুক্রবার) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস। ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ, বিনামূল্যে আইনি সেবার দ্বার উন্মোচন’-এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে দেশব্যাপী দিবসটি পালন করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় সিলেট জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে আজ শুক্রবার সকালে নগরীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা ও শ্রেষ্ঠ প্যানেল আইনজীবী পুরস্কার প্রদান। ন্যাশনাল লিগাল এইড সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন (জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনে বাংলাদেশ সরকারের একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। যা দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ। আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ এর আওতায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করছে। সংস্থার অধীনে দেশের ৬৪টি জেলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি করে লিগ্যাল এইড অফিস রয়েছে। এসব অফিসে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা পাচ্ছেন। এছাড়া উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমেও দরিদ্র লোকজন আইনগত সহায়তা নিতে পারছেন। সিলেট জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী জজ নির্জন কুমার মিত্র জানান, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে আইনগত সহায়তার জন্য ১ হাজার ৪৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক ৮৮৬ জন পুরুষ, ৫৪৮ জন নারী ও ১২ জন শিশু এই সহায়তা চেয়েছেন। সরাসরি লিগ্যাল অফিসে আবেদন করা হয় ৮৭৭টি। আদালত থেকে প্রেরণ করা হয় ৩৮টি, কারাগার থেকে প্রেরণ করা হয়েছে ৫২০টি ও এনজিও’র মাধ্যমে আবেদন করা হয় ১১টি। আইনী পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে ৪৫৫ জনকে। যার মধ্যে নারী ২৮১ জন ও পুরুষ ১৭৪ জন রয়েছেন। ১৩৩২টি মামলার মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ২৪৭টি। ১১৪টি প্রি-কেইস এডিআরের মধ্যে মিমাংসা হয়েছে ১৯টি। বিফল হয়েছে ৬৯টি ও আপোষ মিমাংসা প্রক্রিয়াধীন ২৬টি। ৩টি পোস্ট কেইস এডিআরের মধ্যে মিমাংসা ২টি। অপরটি বিফল হয়েছে। এডিআরের মাধ্যমে অর্থ আদায় হয়েছে ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা।
আপোষ মিমাংসায় চলমান মামলা নিষ্পত্তি হয় ৩টি। আপোষ মিমাংসায় উপকারভোগীর সংখ্যা ৩৭৫ জন। বিজ্ঞপ্তি