ওসমানী বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার জবাবে অধ্যাপক জাকির : সততার সহিত নগরবাসীর সেবা করতে চাই

19

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন, অগ্রগতি, সম্প্রীতি ও শান্তির রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতেও সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে। আজকের উপস্থিতি তা প্রমাণ করে। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ করেই আমরা এই পর্যায়ে এসেছি। আমি গ্রেনেড হামলায় আহতদের একজন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজনীতি করেছি কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি থেকে বিচ্যুতি হয়নি। তিনি বলেন, কোনো বামপন্থী, দক্ষিণপন্থী, আলবদর, রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী পরিবারে জন্ম নিয়ে প্রকৃত আওয়ামী লীগার হতে পারে না। মনে রাখতে হবে, এই সিলেটের মাটি জননেত্রী শেখ হাসিনার মাটি, এই সিলেটের মাটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘাটি। আমরা বিশ্বাস করি, এই চলার পথে, আগামীর অগ্রযাত্রায়, আমরা সবাই এক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার প্রত্যেকটি বিজয়ের ক্ষেত্রে আদর্শিক সৈনিক হবো। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ করোনা মোকাবিলা করেছে, বন্যা মোকাবিলা করেছে ও আদর্শের রাজনীতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আদর্শের পতাকাকে এগিয়ে নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড আওয়ামী লীগের মাঠ থেকে ওঠে আসা, যিনি এই মাটিকে নিজের করে নিয়েছেন, এই মাটিতে দুর্যোগ মোকাবেলা করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন, গ্রেনেড খেয়েছেন, পুলিশের লাঠির চার্য খেয়েছেন তাদেরকে মূল্যায়ন করবেন। তিনি বলেন, আমি আপনাদের দোয়া চাই, সহযোগিতা চাই এবং সততার সহিত নগরবাসীর সেবা করতে চাই। আমরা যারা নমিনেশন পত্র কিনেছি তাদের মধ্যে থেকে যিনি আওয়ামী লীগের মাঠের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত সেই প্রকৃত কর্মীকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিবেন। তার পক্ষেই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নৌকার বিজয় উপহার দিবে। তিনি বলেন, আমার পক্ষে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন এডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দিপন। কিন্তু আমি ঢাকায় চার ঘন্টা অবস্থান করলেও তা জমা দেয়নি। কারণ আমি আমার মুরব্বি, অভিভাবক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, শফিকুর রহমান চৌধুরী ও এডভোকেট নাসির উদ্দীন খান সহ আপনাদের দোয়া নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে চাই। পরিশেষে তিনি উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়ার জন্য জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ যারা শুভাকাক্সক্ষী সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আপনাদের এই কখনো ঋণ শোধ করতে পারবো না কিন্তু সততার সহিত আপনাদের ও নগরবাসীর সেবা করতে চাই। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
সোমবার দুপুরের ফ্লাইটে তিনি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। যুক্তরাজ্যে ১২ দিনের সংক্ষিপ্ত সফর শেষে বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। উষ্ণ অভ্যর্থনা শেষে এবং চৌহাট্টস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দীন খানের পরিচালনায় অভ্যর্থনা পরবর্তী বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। আমরা রাজপথে আছি, রাজপথই থাকবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাবো। সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমরা আশা করি মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মূল্যায়ন করবেন। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যেকোনো নির্দেশনাকে বাস্তবায়ন করতে হবে। শত শত মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও গাড়ি বহরে আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাকে বিমানবন্দর থেকে শহীদ মিনারে নিয়ে আসেন। শহীদ মিনারে এসে তিনি নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে মহান শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, মো: সানাওর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী, এাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরান, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল,
ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজাহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন রবিন, জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো: মজির উদ্দিন, মহানগরের উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ। মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল, নুরুন নেছা হেনা, মুক্তার খান, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, রোকসানা পারভীন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, তৌফিক বক্স লিপন, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, রকিবুল ইসলাম ঝলক, ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যবৃন্দ এডভোকেট আব্দুল মালিক, আব্দুল মালিক সুজন, এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিবৃন্দ মুফতি আব্দুল খাবির, আব্দুর রব হাজারী, আব্দুল হামিদ, মুহিবুর রহমান ছাবু, সালউদ্দিন বক্স সালাই, রোকন আহমদ, ফখরুল হাসান, সিরাজুল ইসলাম শামীম, সাজোয়ান আহমদ, দিলোয়ার হোসেন রাজা, ইসমাইল মাহমুদ সুজন, ফয়সল আক্তার ছোবহানী, আনসার আহমদ কয়েছ, আব্দুস সালাম সাহেদ, মোঃ ছয়েফ খাঁন, ও সাধারণ সম্পাদবৃন্দ সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, তাজ আহমদ লিটন, সোয়েব বাসিত, এম.এ খান শাহীন, জাহিদুল হোসেন মাসুদ, জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক, নজরুল ইসলাম নজু, এডভোকেট মোস্তফা দিলোয়ার আজহার, শেখ সুরুজ আলম, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, এডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, ফকরুল ইসলাম আলকাছ, রুমেল আহমদ রুমিন, মইনুল ইসলাম মঈন, ফজলে রাব্বি মাসুম, জাবেদ আহমদ, সেলিম আহমদ সেমিম, বদরুল ইসলাম, গুলজার আহমদ জগলু, আনোয়ার হোসেন আনার সহ সাবেক ছাত্রনেতা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি